মেট্রোর ইতিহাসে এই প্রথম। এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল হায়দরাবাদ। মেট্রোপথে গ্রিন করিডর দিয়ে হৃদযন্ত্র পৌঁছল হাসপাতালে। রোগীর হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের জন্য ওই বিশেষ যাত্রীবিহীন পরিষেবা দিল হায়দরাবাদ মেট্রো। মেট্রো কর্তারা জানিয়েছেন, ৩০ মিনিটে ১৬টি স্টেশন অতিক্রম করেছে ওই বিশেষ মেট্রো। সড়কপথে ওই দূরত্ব অতিক্রম করতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগত।

জানা গিয়েছে, এলবি নগরের কামিনেনি হাসপাতাল থেকে জুবিলি হিলের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল ওই হৃদযন্ত্রটি। শহরের দুপ্রান্তে এই দুটি হাসপাতাল। এবং ওই হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা এক রোগীর খুব দ্রুত হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের দরকার ছিল। আর তাই মেট্রো মারফত এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে পৌঁছল হৃদযন্ত্র।

অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এজিকে গোখেল বলেছেন, “জুবিলি হিলের হাসপাতালে ৪৪ বছরের এক রোগীর ওই হৃদযন্ত্রের প্রয়োজন ছিল। কামিনেনি হাসপাতালে ৪৫ বছরের আরেক রোগীর ব্রেন ডেথ হওয়ায় ওই হৃদযন্ত্র অ্যাপোলোয় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।” তিনি আরও বলেন, “শহরের দুপ্রান্তে দুটি হাসপাতাল হওয়ায় সমস্যায় পড়েতে হয়। যদি সড়কপথে গ্রিন করিডর দিয়ে অর্গ্যানটি নিয়ে যাওয়া হত তাহলে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগত। কোনও হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের জন্য হাতে মাত্র চার ঘণ্টা থাকে। এক্ষেত্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। মেট্রো আমাদের এক রোগীর প্রাণ বাঁচানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে। তার জন্য অনেক ধন্যবাদ।’

অ্যাপোলো হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম এদিন বিকেল ৪টে ৪০ নাগাদ লাইভ অর্গ্যান নিয়ে মেট্রোয় যাত্রা শুরু করে। এ প্রসঙ্গে হায়দরাবাদ মেট্রো রেলওয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এনভিএস রেড্ডি বলেন, “একজনের প্রাণ বাঁচানোর জন্যই আমরা ওই বিশেষ মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে সমস্ত সতর্কতা বজায় রেখেই গ্রিন করিডর তৈরি করা হয়েছিল।’ এপ্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, যাত্রাপথের প্রতিটি স্টেশনে মনিটরিং চলছিল। পাশাপাশি কড়া পাহাড়া বসানো হয়েছিল। জুবিলি হিলস স্টেশনে চেক পোস্ট বসানো হয়েছিল যাতে এক মুহূর্ত সময় অপচয় না হয়।



আরও পড়ুন-‘আত্মনির্ভরতা’কে ২০২০-র সেরা হিন্দি শব্দের স্বীকৃতি দিল অক্সফোর্ড

