জোটে আনতে ১৬ তারিখের কং-বাম বৈঠকে ডাকা হলো আব্বাস সিদ্দিকিকেও

বাম-কংগ্রেস জোটে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে ( ISF) সামিল করতে ১৬ ফেব্রুয়ারি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে৷ এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আব্বাস সিদ্দিকি-কেও ( ABBAS SUDDIQUI)৷

আব্বাস সিদ্দিকি জোটের কাছে মোট ৪৪টি আসন দাবি করেছেন৷ জানা গিয়েছে, ISF-কে জোটে আনতে কংগ্রেস (CONG) যদি ১৫টি আসন ছাড়ে, তাহলে বামেরা (LEFT) ছাড়বে ৩০টি। এভাবেই আব্বাসের দাবি পূরণ করতে চাইছে সিপিএম ৷ সে কথা বলতেই ডাকা হয়েছে ১৬ তারিখের ‘ত্রি-পাক্ষিক’ বৈঠক৷

প্রসঙ্গত, কং-বাম জোটে শরিক হতে চেয়ে বিমান বসুকে চিঠি দিয়েছিলেন আব্বাস সিদ্দিকি। এই চিঠি পেয়ে আলিমুদ্দিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসুন আব্বাসরা। আব্বাসের চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu) বলেছেন,”আমরা আইএসএফের (ISF) সঙ্গে বোঝাপড়া হোক, সেটাই চাই। কংগ্রেসও সামিল হোক। ৩ জনকেই এক জায়গায় আসতে হবে।”

এদিকে জানা গিয়েছে, আলিমুদ্দিনের কথায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরিকে বার্তা পাঠিয়েছেন ISF নেতা নওয়াজ সিদ্দিকি। ওদিকে, ইতিমধ্যেই আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোটের গুরুত্ব বুঝিয়ে সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান। এর অর্থ, আব্বাস ‘ভাইজান’-কে জোটে শরিক করতে আপত্তি নেই কংগ্রেসেরও৷ আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বসিরহাট, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দুই দিনাজপুর-সহ রাজ্যের সংখ্যালঘু আসনগুলিতে চমক দেখাতে পারেন আব্বাস সিদ্দিকি। এমনই মনে করছে সিপিএম৷ ওদিকে, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও দুই দিনাজপুরে কংগ্রেসের প্রভাব রয়েছে। ওখানে কংগ্রেসকে একটু নমনীয় হতে হবে বলেও মনে করছে সিপিএম।

আরও পড়ুন- মমতাকে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী করার শপথ নিয়ে রাজপথে অধ্যাপক সমাজ

Advt

Previous articleমমতাকে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী করার শপথ নিয়ে রাজপথে অধ্যাপক সমাজ
Next articleবিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবন থেকে উধাও প্রশ্নপত্র, বাতিল একাধিক পরীক্ষা