Monday, August 25, 2025

নব্য, তৎকালদের থেকে বাঁচতে এবার ‘সেভ বেঙ্গল বিজেপি’র ডাক দলের আদি নেতা-কর্মীদের

Date:

আজ না হয় কাল, সংঘাত যে বাধবে তা জানাই ছিল। কেন্দ্রীয় নেতারা আর কতদিনই বা চেপে রাখবেন! বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের ফ্লাডগেট খুলে দেওয়ার পর যেভাবে অন্য দলের নেতা-কর্মীরা সুযোগ বুঝে ঢুকে পড়ছেন, তাতে বাংলার আদি বিজেপি নেতা-কর্মীরা চূড়ান্ত অস্তিত্বের সংকটে। অবস্থা এতটাই ঘোরালো যে ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা এবার ‘সেভ বেঙ্গল বিজেপি’ (savebengalbjp) প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে নিজেদের দলেরই নব্য, তৎকাল সহকর্মীদের থেকে দলকে রক্ষা করতে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। সেভ বেঙ্গল বিজেপির টুইটারে (tweeter) নব্য ও তৎকাল বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে অভিযোগের ঝড়। কোনও টুইটে জনৈক নেতার অস্বাভাবিক বৈভবের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কোনও টুইটে লেখা হয়েছে কী কারণে পামেলা গোস্বামী, রাকেশ সিংয়ের মত ড্রাগ পাচারকারী বা শঙ্কুদের পাণ্ডার মত জালিয়াতকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে তার জবাব দেওয়া হোক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সৌমিত্র খাঁ, লকেট চ্যাটার্জির মত নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বিজেপি ও রাজ্য বিজেপির টুইটার হ্যান্ডেল ট্যাগ করে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন দলের আদি কর্মীরা।

জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির একাধিক পুরনো নেতা ও একাধিক যুব নেতা এই সেভ বেঙ্গল বিজেপি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। এঁদের কথায়, লজ্জা হচ্ছে ভাবতে যে আমাদের নেতারা এখন ড্রাগ পাচারকারীকে বাঁচাতেও বিবৃতি দিচ্ছেন! অথচ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে এখন যারা লম্বাচওড়া কথা বলছেন তাঁরা কেউ বিজেপির নীতি-আদর্শ ভালবেসে আসেননি। এই তৎকাল নেতা-কর্মীদের বেশিরভাগই তৃণমূলে থেকে সবরকমের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন, তৃণমূলে থাকার সময় সাধারণ বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচারও করেছেন। এখন যেই বুঝেছেন বিজেপির (bjp) দিকে হাওয়া, ওমনি নানা কেলেঙ্কারি থেকে বাঁচতে বিজেপিতে এসে ভিড় করছেন। আদি বিজেপির এক যুবনেতা বলেন, যারা আসছে তাদের সঙ্গে বিজেপির রাজনৈতিক মতাদর্শের কোনও সম্পর্ক নেই। এদের অনেকের বিরুদ্ধে নানারকম দুর্নীতির তদন্ত চলছে। এখন দলবদল করে বাঁচতে চায়। আবার অনেকেই তৃণমূলে থাকলে এবার আর টিকিট পাবেন না বুঝে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। বিজেপি দলের প্ল্যাটফর্মটা এদের কাছে এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ক্ষোভ-বিক্ষোভ, আক্রোশ মেটানোর জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আদি বিজেপির এক নেতা বলেন, লোকসভা ভোটের আগে এঁরা কিন্তু ঝুঁকি নেননি। তখন সিংহভাগ পুরনো কর্মীই মাটি কামড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলায় দলকে জয় এনে দিয়েছেন। সেভ বেঙ্গল বিজেপির সদস্যরা তাই বলছেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভালবেসে এই দলটা করি। দল থেকে আখের গোছানোর ধান্দা নিয়ে নয়, বরং দলের রাজনৈতিক আদর্শের টানে আমরা বিজেপির পতাকা ধরেছি। কোনও অবস্থাতেই বাংলার বিজেপি দলকে ড্রাগ পাচারকারী, দুর্নীতিগ্রস্ত, চরিত্রহীন, ধান্ধাবাজ নেতাদের হাতে তুলে দেব না আমরা।

Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...
Exit mobile version