জঙ্গলমহলে জনস্রোত, কুণালের ডাক চারে চার

ফেব্রুয়ারি শেষেই তাপমাত্রার পারদ যথেষ্ট চড়েছে দক্ষিণবঙ্গে। তীব্র গরম উপেক্ষা করেই বৃহস্পতিবার, জঙ্গলমহলে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) দুটি জনসভাতেই উপচে পড়া ভিড়। সভা থেকে কুণাল জঙ্গলমহলে চারটি আসনের ৪টিই তৃণমূলকে দেওয়ার ডাক দেন। তিনি বলেন, জঙ্গলমহল ঐতিহাসিক জায়গা। ভূপ্রকৃতিগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা আদিবাসীদের সংস্কৃতির জায়গা। কিন্তু বাম আমলে সেখানে প্রায় কিছুই ছিল না বলে অভিযোগ করেন কুণাল। স্থানীয়রা খিদের জ্বালায় পিপড়ের ডিম খেয়ে থাকতেন। তিনি মনে করান, নব্বই সাল নাগাদ সেখানে তৃণমূল (Tmc) নেত্রী স্কুটার করে যেতেন। ঘুরে ঘুরে শুনতেন মানুষের অভাব অভিযোগের কথা। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benarjee) জঙ্গলমহলের পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন; ঝকঝকে রাস্তা, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। তাই লোকসভায় যাই হোক না কেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে চারটির মধ্যে চারটি আসনই পাবে তৃণমূল, বলেন প্রত্যয়ী কুণাল।

কুণাল জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বাড়ি নবান্ন ই-স্কুটারে যাতায়ত করেছেন। এটা কেন্দ্রের পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে অন্যান্য জিনিজের দামও বাড়ছে। কুণাল কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপি নেতারা আসছেন অথচ তাদের মুখে এই নিয়ে কোনো কথা নেই।

কুণাল বলেন, পাহাড়ে ঘেরা জঙ্গলমহলে মাঝে মধ্যেই বুনো হাতির দল এসে পড়ে। তখন হুলা পার্টি তাদের তাড়িয়ে দেয়। এলাকায় যারা অশান্তি তৈরি করতে আসবে, তাদের হুলা পার্টি দিয়ে তাড়িয়ে দিন- ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির সভা থেকে নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

জনসভা থেকে বিজেপির চাল সংগ্রহকে সীতাহরণের সঙ্গে তুলনা করে কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সব বেচে দিচ্ছে। কৃষি নীতি কৃষকের বিরুদ্ধে। শ্রমনীতি শ্রমিকের বিরুদ্ধে। বেসরকারিকরণ, বিলগ্নীকরণ, ছাঁটাই, পরিযায়ী শ্রমিকদের বিতাড়ণ সবই করেছে এই বিজেপি সরকার। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিও তুলে ধরেন কুণাল।

আরও পড়ুন:“অন্য সম্পর্কে রাজি না হতেই শারীরিক নিগ্রহ”! রাকেশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক পামেলা

এদিন, আসল বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সকালে কুণাল জঙ্গলমহল সফর শুরু করেন। গোপীবল্লভপুরের রোহিনী ও বেলপাহাড়ি দুটিতেই জনসভাই ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। ধামসা-মাদল নিয়ে হাজির হন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছিলেন আদিবাসী নৃত্যশিল্পীরাও। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন স্থানীয় মানুষও।

Advt

Previous articleআইনি জটিলতায় অনুপম হাজরা, কিন্তু কারণ কী?
Next articleধাক্কা সামলে ফের ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার, ২৫৭ পয়েন্ট বাড়ল সেনসেক্স