কলকাতা থেকে কুলতলি ‘অদৃশ্য’, নাড্ডার সভাতেও কেউ সিট ছাড়ল না শোভন-বৈশাখীকে!

একজন নাকি কলকাতা- দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বিজেপির পর্যবেক্ষক এবং অন্যজন সেই কাজে তাঁর সহকারী। তৃণমূলত্যাগী শোভন চট্টোপাধ্যায় (sovan chatterjee) ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (baishakhi banerjee)। অথচ দলেরই একের পর এক কর্মসূচিতে তাঁরা ‘অদৃশ্য’। ভরা নির্বাচনী মরসুমে গেরুয়া শিবিরের অন্য নেতাদের যখন দম ফেলার ফুরসত নেই তখন দুই গুরুত্বপূর্ণ জেলার এই পর্যবেক্ষক আর সহ-পর্যবেক্ষক জুটি ঠিক কী পর্যবেক্ষণ করছেন তা জানা নেই বিজেপিরই (bjp) অধিকাংশ নেতার! সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলির এক সভায় মূল বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই কলকাতায় দলের যোগদান কর্মসূচি উপলক্ষ্যে হৃষিকেশ পার্ক থেকে লেবুতলা পার্ক পর্যন্ত রোড-শোতে ছিলেন শুভেন্দু-রাজীব-মুকুল-বাবুলরা। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে সাংসদ অর্জুন সিংকেও। অথচ দক্ষিণবঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক করে যাঁকে বসানো হয়েছে সেই শোভনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে যদিও বা বৃহস্পতিবার বেরোলেন, সেখানেও তাল কাটল। বসার জায়গা না পেয়েই ফিরে যেতে হল যুগলকে।

আরও পড়ুন:কয়লাকাণ্ড : কলকাতা-সহ ১৪ জায়গায় তল্লাশি সিবিআই-ইডির

আসলে শোভন-বৈশাখী জুটিকে নিয়ে বিজেপির হয়েছে এখন সাপের ছুঁচো গেলার অবস্থা! তাঁরা বেরোলেও রাজনীতি ছেড়ে সামনে আসছে পারিবারিক কেচ্ছা, কাদা ছোঁড়াছুড়ি আর সরস কটাক্ষের বাণ। এবং যাতে বিজেপির লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। আবার না বেরোলেও পর্যবেক্ষক পদের গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরে। তবে দলে তাঁদের প্রাসঙ্গিকতা আসলে কতটা তার সর্বশেষ নমুনা উঠে এসেছে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় খোদ বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সভার অনুষ্ঠানে। এদিনের অনুষ্ঠানে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামের প্রথম সারির দর্শকাসন ছিল পুরো ভরতি। ‘সুসজ্জিত’ শোভন-বৈশাখী জুটি যখন প্রথম সারিতে বসার সিট খুঁজতে থাকেন তা দেখেও কেউ এগিয়ে এসে তাঁদের বসতে বলেননি, জায়গাও ছেড়ে দেননি! এই অবস্থায় তখন মান বাঁচাতে অন্য কাজের সাফাই দিয়ে বেরিয়ে যান ‘অপমানিত’ শোভন ও তাঁর বান্ধবী। বেইজ্জতি গোপন করার চেষ্টায় শোভনের দুর্বল অজুহাত, অন্য কাজ থাকায় বেরিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে নাড্ডার সঙ্গে দেখা হয়েছে। প্রশ্ন হল, ভোটের আগে খোদ বিজেপি সভাপতির সভার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ আর কোন কর্মসূচি থাকতে পারে এই জেলা বিজেপি পর্যবেক্ষকের, সেটাই শুধু বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ।