বামেদের ব্রিগেডে আসছেন লালু-পুত্র তেজস্বী, তবে মন পড়ে কালীঘাটে দিদির বাড়িতে

রাত পোহালেই বামেদের ব্রিগেড। বলা ভালো, মহাজোটের মহাসমাবেশ। একুশের হাইভোল্টেজ বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব ফিরে পাওয়ার প্রশ্নে যা বাম-কংগ্রেসের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি। রাজ্যের জোট রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে তৃণমূল ও বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রেখে রবিবাসরীয় ব্রিগেড তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ব্রিগেডের এই সমাবেশের আগে অন্যতম চর্চার কেন্দ্রে আরজেডি প্রধান তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী। গতবছর বিহারের মসনদে বসতে বসতেও বসা হয়ে ওঠেনি। আরজেডি আবার দীর্ঘদিন ধরে এ রাজ্যে বামেদের শরিক। তাই রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকে রবিবারের ব্রিগেডের আমন্ত্রিত তেজস্বী।

অন্যদিকে, লালু-পুত্র আবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব পছন্দের। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন হোক কিংবা ২০২০ বিহার ভোট, তেজস্বীর মাথায় আশীর্বাদের হাত ছিল মমতার। তাই বামেদের ডাকে রবিবার কলকাতায় এলেও লালু-পুত্রের মন যে কালীঘাটে দিদির বাড়িতে পরে থাকবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

জানা যাচ্ছে, ব্রিগেড শেষে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তেজস্বী। বাংলার নির্বাচন নিয়েও নাকি আলোচনাও করতে পারেন।পশ্চিমবঙ্গের হিন্দিভাষী এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি আসন আরজেডি-কে লড়াইয়ের জন্য ছেড়ে দিতে পারে তৃণমূল। হিন্দি ভাষী বারাকপুর, ভাটপাড়ার নিয়ে ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে আগেই। আবার বামেদের সঙ্গেও আসন নিয়ে আলোচনা হতে পারে তেজস্বীর। একাধিক সম্ভাবনা নিয়েই রবিবার রাজ্যে পা রাখছেন লালু-পুত্র।

আরও পড়ুন- রবিবাসরীয় বাম ব্রিগেডের বক্তা তালিকা চূড়ান্ত, ব্রাত্য গতবারের “চ্যাম্পিয়ন” দেবলীনা!

Advt

 

Previous articleভরা বসন্তে গরমে জেরবার শহরবাসী, সপ্তাহান্তে আরও ঊর্ধ্বমুখী পারদ
Next articleবাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে ৩০ মার্চ