দেশজুড়ে মোদি ঝড় বইলেও, তখন এ রাজ্যে সেভাবে দানা বাঁধতে পারেনি বিজেপি (BJP)। সালটা ২০১৬। বাংলায় বিধানসভা ভোট(Assembly Election)। শাসক তৃণমূলের(TMC) মূল প্রতিপক্ষ বাম-কংগ্রেস জোট (Left Congress Alliance)। জোটের মুখ বাম আমলের স্বাস্থ্য মন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্র। এই জোটকে কংগ্রেসের যে কয়েকজন নেতা মেনে নিতে পারেননি, তার মধ্যে গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দেবপ্রসাদ রায় (DP Roy)। সেই সময়কার আলিপুরদুয়ারের (Aalipurduyar) বর্ষীয়ান বিধায়ক প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করে ভোট প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ান।
কিন্তু ভোট বড় বালাই। আজ, রবিবার রাতে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত আরও ৩৪টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় কংগ্রেস। এবং সেখানে আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী হিসেবে জ্বলজ্বল করছে ডি পি রায়ের নাম। জানা গিয়েছে, নিজের ইচ্ছাতেই পুরোনো কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা। প্রসঙ্গত, করোনা পরবর্তী সময় এবং প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের প্রয়াণের পর ফের প্রদেশ কংগ্রেসে অতি সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে ডি পি রায়ের মধ্যে।
ভোট বড় বালাই। সব অভিমান, আদর্শ, নীতিকে পিছনে ঠেলে ফের নির্বাচনের ময়দানে সুবক্তা ডি পি রায়। তাঁর নিজের কেন্দ্রেই নিজের দলের অন্দরেই ডি পি রায়ের গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকে কটাক্ষ করে মুখ আর মুখোশের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। তাহলে কি ডি পি রায় আসলে ওই নেতাদের মধ্যেই পড়েন, যাঁরা নীতি নয়, লবিকেই প্রাধান্য দেন? প্রশ্ন উঠছে!
আরও পড়ুন- দল খোঁজ না নেওয়ায় ‘অভিমানী’ রেজ্জাকের মান ভাঙাতে আসরে শওকত মোল্লা
অন্যদিকে, দিল্লির হাইকম্যান্ড এদিন মূলত কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে পরিচিত উত্তরবঙ্গ ও মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণবঙ্গের অল্প কিছু আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। যেখানে “চমক” একেবারেই নেই। অর্থাৎ, পরীক্ষার রাস্তায় হেঁটে পরিচিত ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের ফের একবার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।