Saturday, August 23, 2025

বিতর্কের মুখে শার্লি এবদো-র ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ। যেখানে ব্রিটিশ রাজপরিবারের পুত্রবধূ মেগান মার্কেল ও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। তবে প্রচ্ছদটি প্রকাশ পেতেই ব্রিটেনবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েছে ফরাসী পত্রিকা শার্লি এবদো।

প্রচ্ছদের কার্টুনে দেখা যাচ্ছে, মাটিতে পড়ে আছে মেগান । তাঁর গলায় হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছেন স্বয়ং রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। মেগান বলছেন, তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না। শনিবার প্রকাশিত ওই ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের শিরোনাম ‘মেগান কেন বাকিংহাম প্যালেস ছেড়ে দিলেন’। সম্প্রতি মেগান ও হ্যারি ওপরা উইনফ্রের এক সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। সেখানে রাজপরিবার ছাড়ার প্রসঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করেন হ্যারি ও মেগান। সেই শো-তে বস্ফোরক মন্তব্য করেন মেগান। বলেন, রাজপরিবারে থাকাকালীন বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গেই ব্যঙ্গচিত্রটি প্রকাশিত করা হয়েছে।


এদিন উইনফ্রের শো-তে মেগান আরও জানান, তাঁর হবু সন্তানের গায়ের রং কতটা কালো হতে পারে, সে বিষয়েও নাকি আলোচনা হত রাজপরিবারে। জাতিবিদ্বেষ ও বর্ণবিদ্বেষের এই গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরে রাজপরিবারের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিষয়টি জানতে পেরে রানি মর্মাহত। এমনকি হ্যারি দাদা উইলিয়াম অবশ্য জানিয়েছেন, ব্রিটিশ রাজপরিবার কোনও ভাবে জাতিবিদ্বেষী নয়। মেগানের সঙ্গে ঠিক কে বা কারা বিদ্বেষমূলক আচরণ করেছিলেন, তা সরাসরি না বললে বোঝা সম্ভব নয়। এদিনের সাক্ষাৎকারের পরে হ্যারি জানান, রানি এলিজাবেথ ও তাঁর স্বামী কখনও হ্যারি-মেগানের সন্তানের বিষয়ে কুমন্তব্য করেননি। রানির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো বলেও জানান তাঁরা। এই সাক্ষাৎকারের পরই মেগানের কাছ থেকে তাঁর অভিযোগের প্রমাণ চাওয়া হয়েছে।
বিতর্কিত ওই ছবির সঙ্গে মিল রয়েছে আমেরিকার জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের। গত বছর মে মাসে মিনিয়াপোলিসে মারা যান কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড। জাল নোট ছড়ানোর অভিযোগে প্রকাশ্যে তাঁর গলায় হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছিলেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিন। আট মিনিট ওই ভাবে থাকার পরে শ্বাসনালি ভেঙে মারা যান ফ্লয়েড। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল সেই ছবি। অডিয়ো রেকর্ডিংয়ে শোনা গিয়েছিল ফ্লয়েডের বলছে ‘আই কান্ট ব্রিদ।’ সেই ঘটনার প্রতিবাদে আমেরিকা জুড়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ নামক জাতি ও বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।
তবে অনেকেই এই কার্টুনের সমালোচনা করেছেন। এমনকি নেটাগরিকদের ক্ষোভের মুখে পড়েছে এই ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ। এক কৃষ্ণাঙ্গের হত্যার দায়ে অভিযুক্ত একজনের সঙ্গে ব্রিটেনের রানির তুলনা করা অত্যন্ত কুরুচিকর। এক নেট নাগরিকের টুইট, ‘জাতিবিদ্বেষ, অসম্মান আর অপরাধকে এক পংক্তিতে ফেলে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। এই ধরনের বাক্‌স্বাধীনতার কথাই কি শার্লি এবদো বলে?

Related articles

দায় বেসরকারিকরণ নীতির! মোদিরাজে পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক কর্মী

মোদি সরকারের আমলে বিগত পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক সরকারি কর্মী। সম্প্রতি লোকসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্র।...

পুজোর আগে প্রায় দ্বিগুণ দুধ উৎপাদনে বাংলার ডেয়ারি 

কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে প্যাকেটজাত দুধের জোগান বাড়াতে রাজ্য সরকারি ব্র্যান্ড বাংলার ডেয়ারি বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। পুজোর...

পিছনে দৌড়! স্নাতক স্তরে বৈদিক গণিত আনার চেষ্টা UGC-র

গোটা বিশ্ব গণিতের ক্ষেত্রে যেখানে নতুন উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে আসছে, সেখানে ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছন দিকে হাঁটা শুরু...

হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া পেল স্বচ্ছ ভারত মিশনের ‘ওডিএফ প্লাস’ সার্টিফিকেট 

বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের প্রান্তিক দুই শহর হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া এবার স্বচ্ছ ভারত মিশনের ‘ওপেন ডিফেকেশন ফ্রি প্লাস’ (ওডিএফ প্লাস)...
Exit mobile version