২২ মার্চ ২০২০। আজকের দিনেই ঘোষণা করা হয়েছিল জনতা কার্ফু। দিনটি ছিল রবিবার। সেদিন বিকেল পাঁচটায় গর্জে উঠেছিল কলকাতাসহ বাংলা এবং সমগ্র দেশবাসী। মানুষ করতালি, ঘন্টা, থালাবাটি এমনকি শব্দবাজি ফাটিয়েও শব্দ তুলেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর ডাক ছিল, জনতা কার্ফুর দিন বিকেলে এই কর্মসূচি হবে। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, মিডিয়াসহ যাঁরা করোনার বিপদ উপেক্ষা করে কাজ করছেন, তাঁদের ধন্যবাদ ও উৎসাহ দিতে এই কর্মসূচি। মানুষ বারান্দায় বেরিয়ে এসে হাততালি দিয়েছেন। ঘন্টা বাজিয়েছেন। বিষয়টা শুধু রাজনীতিকদের মধ্যে ছিল না। এটি আমজনতার আবেগে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন-আত্মনির্ভর ভারতের ভুয়ো প্রচার! ঝুপড়িবাসী লক্ষ্মী অবাক মোদির পাশে নিজের ছবি দেখে

একবছর আগের স্মৃতি উস্কে দিল আজকের করোনা সংক্রমণের হার। শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪৬,৯৫১ জন। রবিবার, ছুটির দিনে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লক্ষ ৮০ হাজার। কম টেস্ট সত্ত্বেও আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধমুখী। পজিটিভিটি রেট ছুঁল ৫.৩৪ শতাংশ! এই নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক কোটি ষোলো লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার সাতশো উনিশ। দেশে সক্রিয় রোগী তিন লক্ষ ছত্রিশ হাজার তিনশো বিরানব্বই। মোট মৃত্যু এক লক্ষ ষাট হাজার পার।


ভ্যাকসিন আসার পর মানুষ দিন দিন অসতর্ক হয়ে পড়েছে। আর সেটাই সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৪২২ জন। এরমধ্যে কলকাতাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৮ জন। উত্তর ২৪ পরগণায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছল ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬৩১-এ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।


আরও পড়ুন-১০০ কোটির তোলাবাজির অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে, টালমাটাল জোট, আজই বৈঠক

মহারাষ্ট্রের দ্বিতীয় ঢেউ আটকাতে কঠর হতে হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনকে। নাইট কার্ফু, আংশিক লকডাউন করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি পাঞ্জাব, কেরল, কর্ণাটক এবং গুজরাটে আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
