‘গরিবদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই আমার লক্ষ্য’, ভোট প্রচারে জানালেন মিঠুন

প্রথম দফা নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার প্রচারের শেষ দিন। এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ দিনে জঙ্গলমহলে(junglemahal) প্রচারে ঝড় তুলতে নেমেছেন মিঠুন চক্রবর্তী(Mithun Chakraborty)। এদিন বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম(Jhargram) জেলায় মোট ৪টি রোড শো ছিল মিঠুনের। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, ‘গরিবদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই আমার লক্ষ্য’।আর সেই লক্ষ্য পূরণের জন্যই ফের রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন তিনি। পাশাপাশি তাকে প্রশ্ন করা হয় কেন সরাসরি নির্বাচনে লড়ছেন না মিঠুন চক্রবর্তী? এ প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য মিঠুন জানালেন, ‘সুবিধাবাদী হয়ে যাওয়ার ভয়েই ভোটে লড়ছি না’।

ব্রিগেডের মঞ্চ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তারপর তাকে ঘিরে বিতর্ক কম হয়নি। অনেকেই তাঁকে কটাক্ষ করে বলেন, লাল-সবুজের পর গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া মিঠুন আসলে সুবিধাবাদী। মিঠুনের সহকর্মী চিরঞ্জিতও কটাক্ষ করে মিঠুনকে বলেছিলেন, ‘উনি সুবিধে নেওয়া লোক, সুরক্ষা পেতেই বিজেপিতে গিয়েছেন।’ বৃহস্পতিবার ভোটপ্রচারের ময়দানে নেমেই যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিলেন মহাগুরু। তাঁর সাফ মন্তব্য, ‘একুশের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা না করার একটাই কারণ, আমি সুবিধাবাদী হতে চাই না।’

আরও পড়ুন:Gangubai Kathiawadi: সঞ্জয় লীলা বনশালী ও আলিয়া ভাটকে তলব করল মুম্বই আদালত

বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ায় মহাগুরুর চপার নামতেই দেখা যায় জনসুনামি। এরপর একে একে যে কয়টি জায়গায় তিনি প্রচারে গিয়েছেন প্রত্যেকটি জায়গায় মানুষের ভিড় ছিল তার নিত্যসঙ্গী। একে একে শালতোড়া, ইঁদকুড়ি, কেশিয়াড়িতে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে রোড শো করেন মিঠুন। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষের সঙ্গে আমার হিরো আর ফ্যানের সম্পর্ক নয়। বরং আত্মিক সম্পর্ক। হৃদয়ের সম্পর্ক। বাংলার সব দরিদ্র মানুষের জন্য লড়তে এসেছি। সবার সঙ্গে সম্মান দিয়ে হাত মেলাবো। এটা আমার প্রতিশ্রুতি। সবার আশীর্বাদ কামনা করছি।’ পাশাপাশি তিনি আরো জানান, ‘আমি নির্বাচনের প্রার্থী হইনি, কারণ তাহলে আমি সুবিধাবাদী হয়ে যাব।’