কংগ্রেস (Congress) জমানা হোক বাম (Left front) কিংবা তৃণমূলের (TMC) আমল, পশ্চিমবঙ্গের ভোটে (West Bengal Election) বিরোধীরা (Opposition) বরাবরই শাসকের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে রিগিং, সন্ত্রাস, হিংসা, ভোট লুটের। এবারও তেমন অভিযোগকে আমল দিয়ে রাজ্যে নজিরবিহীনভাবে ৮ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ, শনিবার যার প্রথম পর্ব। এদিন ৫ জেলার ৩০টি আসনে সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। এবং ভোটের শুরু থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে হিংসার খবর আসতে শুরু করে। কিন্তু তারপরও বিজেপির (BJP) দাবি, এবার শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের (EC) কাছে তাঁদের বিশেষ অভিযোগ নেই! যা যেন উলট পুরাণ! রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি হয়েও ভোটে রিগিংয়ের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। যেমন কথা শোনা যায় শাসকের মুখে। এবার তেমনই কথা বললেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। বরং সেই তুলনায় শাসক তৃণমূলের অভিযোগ বেশি। বুথ জ্যাম থেকে শুরু করে এজেন্ট ঢুকতে বাধা কিংবা হিংসার কথা বেশি বলতে শোনা যাচ্ছে তৃণমূলকে।
এদিন নির্বাচন কমিশনের দফতরে এসে বাংলায় বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijaybargio) ভোট গ্রহণ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “প্রথম দফায় ভোটে কম রিগিং হয়েছে। কম হিংসা হয়েছে। ৯০ শতাংশ বুথে নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে। যদিও দ্বিতীয় দফায় আরও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, প্রথম দফায় ভোটারদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।”
এদিন কৈলাস, অর্জুনদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিল। কৈলাসের কথায়, “অনেকদিন ধরে বাংলায় ভোট দেখছি। এবার কম রিগিং হয়েছে। মানুষ নির্ভয়ে বুথে গিয়ে ভোট দিচ্ছেন। দ্বিতীয় দফায় ১০০ শতাংশ বুথে মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে, এবার সেটা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে দেখতে বলেছি। গত ৪০ বছরে বাংলায় এত সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট কেউ দেখেনি।”
রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...