Saturday, August 23, 2025

ওয়ার্ক ফ্রম হোম, ৫০% হাজিরা, টাস্ক ফোর্স গঠন, নবান্নের নির্দেশে ভোট- জমায়েত বন্ধের নিদান নেই

Date:

জেগে ঘুমানো যেতেই পারে, তবে তথ্য অস্বীকার করা হারাকিরির সামিল৷  গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ভাইরাসের শিকার হয়েছেন ৭,৭১৩ জন৷ আতঙ্ক বৃদ্ধি করে ওই একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের৷ ভয়ঙ্কর অবস্থা কলকাতার৷ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিকাঠামো সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী বলে প্রশাসনের তরফে দাবি করা হলেও কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২ হাজার৷

এখনই বাংলায় মহারাষ্ট্রের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না নবান্ন (Nabanna)৷ এখনই ফিরছেনা নাইট কারফিউ বা লকডাউনের (Lockdown) মতো প্রতিষেধকও৷ সংক্রমণ রুখতে একসঙ্গে ১০ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার (WB) ৷ উদ্দেশ্য একটাই, যে কোনওভাবে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের হার হ্রাস করা৷

একইসঙ্গে রাজ্য সরকার ৪ সদস্যের এক ‘টাস্ক-ফোর্স’ গঠন করেছে৷ এই টাস্ক-ফোর্সের মাথায় রাখা হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় বনশলকে৷ তাঁকে রাজ্যের ‘নোডাল অফিসার’-এর দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে ৷ এছাড়া আছেন স্বাস্থ্য দফতরের OSD ডাঃ হরেকৃষ্ণ চন্দ্র, ডাঃ সোমা শীল ও ডাঃ অর্ণব রায়৷ এই টাস্ক ফোর্স মূলত রাজ্যের হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলিতে ‘কোভিড-বেড’-এর বিষয়টি দেখবে ৷

নবান্নের এই নির্দেশিকায়ন নতুনকিছু নেই৷২০২০-এর অতিমারির সময় যা বলবৎ ছিলো, সেগুলিই ফিরিয়ে এনেছে রাজ্য প্রশাসন৷ যে সব জায়গায় সাধারণভাবে মানুষের জমায়েত হয়, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতেই এই চেষ্টা৷ তবে এই নির্দেশিকায় ভোটপ্রচারের লাগামহীন জমায়েত বন্ধ করার কোনও নিদান নেই৷

◾সাধারণ মানুষের জমায়েত হয় এমন স্থানে ও গণপরিবহণে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার, দূরত্ববিধি বজায় রাখা বাধ্যতামূলক৷ এ সংক্রান্ত বিধি যাতে মানা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে৷

 

◾ সরকারি, বেসরকারি সমস্ত অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিল্প এবং বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে সপ্তাহে অন্তত একবার

স্যানিটাইজ করতে হবে৷

 

◾ব্যবসায়িক সংগঠনগুলির সহায়তায় সব ধরনের বাজারেও স্যানিটাইজেশনের কাজ করতে হবে৷

 

◾ দৈনিক বা সাপ্তাহিক বাজার, গণপরিবহণে মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে৷

 

◾ দোকান, বাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজের সময় ভাগ করে দিতে হবে, যাতে একসঙ্গে বেশি মানুষের ভিড় না হয়৷

 

◾ রাজ্য সরকারি অফিসগুলিতে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে প্রতিদিন কাজ চালাতে হবে৷ কর্মীদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অফিসে আনতে হবে৷

 

◾বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও যত বেশি সম্ভব কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার (WORK FROM HOME) ব্যবস্থা ফের চালু করতে হবে৷

 

◾ কর্মস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্তকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কর্মীরা মাস্ক পরেন, দূরত্ব বজায় রাখেন৷

 

◾শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, হোটেল, রেস্তোরাঁতে আগের মতোই প্রবেশ করা এবং বেরিয়ে যাওয়ার পথে স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ, থার্মাল স্ক্যানিং-এর ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক৷

 

◾ স্টেডিয়াম এবং সুইমিংপুলে আগের গাইডলাইন অনুসারেই সমস্ত বিধিনিষেধ মানতে হবে৷

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই গাইডলাইন না মানলে আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ করা হবে৷

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version