দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ চষে ফেললেন কুণাল

নির্বাচন কমিশনের নয়া নিয়ম অনুযায়ী ষষ্ঠ দফায় ভোট গ্রহণের জন্য সোমবারই ছিল শেষ প্রচার। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনের নবদ্বীপ থেকে কৃষ্ণনগর চষে ফেললেন তৃণমূল (Tmc) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সকালে, কৃষ্ণনগর উত্তরের প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের (Kaushani Mukherjee) সমর্থনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে সভা করেন। দুপুর ১২টায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে তৃণমূল প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সন্ধেয় কৌশানির সমর্থনে চ্যালেঞ্জ মোড়ে জনসভা। এর মাঝে সটান চলে যান বৈকুণ্ঠপুরে। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করেন তৃণমূল মুখপাত্র। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মায়াপুরে নবদ্বীপ কেন্দ্রের প্রার্থী পুণ্ডরীকাক্ষ (নন্দ) সাহার (Pundarikakkho Saha) সমর্থনে প্রচার সভা করেন তিনি। প্রতিটি সভাতেই ভিড় উপচে পড়ে। তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া দেন উপস্থিত জনতা। গত তিনদিনে কৃষ্ণনগর উত্তর, চাপড়া, নবদ্বীপ মিলিয়ে মোট দশটি জনসভা করেছেন কুণাল ঘোষ।

আরও পড়ুন-করোনার আজব ‘সতর্কতা’, ২দিনে ৪ সভার বদলে একদিনেই সব সভা মোদির

প্রচারে কেন্দ্রের মোদি সরকারের জনবিরোধী নীতিগুলি তুলে ধরেন তৃণমূল মুখপাত্র। তিনি বলেন, বিজেপি “জয় শ্রীরাম” ধ্বনি দিচ্ছে। অথচ রান্নার গ্যাস ৯০০ টাকা। পেট্রোল-ডিজেলের দাম আকাশ ছোঁয়া। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে কেন্দ্র।

পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) জনকল্যাণমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন কুণাল। স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী-রূপশ্রী, দুয়ারে সরকার প্রকল্পে মানুষ কতটা লাভবান হয়েছেন সেকথা জানান। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হয়েছে বাড়ির মহিলা কর্ত্রীর নামে।

কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি (Bjp) প্রার্থী মুকুল রায় (Mukul Roy)। একসময় তিনি ছিলেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা। কুণাল কটাক্ষ করে বলেন, ইডি-সিবিআইয়ের (Ed-Cbi) ভয়ে বিজেপিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মুকুল। হেন কোনও দুর্নীতি নেই, যাতে তিনি জড়িত নন। কৃষ্ণনগর (Krishanagar) উত্তরের সব সভা থেকেই মুকুল রায়কে দুরমুশ করেছেন কুণাল। তীব্র কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, ফিল্মে দেখানো ভিলেনের মতোই চরিত্র মুকুলের।

একইসঙ্গে দলবদলুদের প্রসঙ্গ টেনে কুণাল বলেন, তৃণমূলের গদ্দারা না গেলে ২৯৪ টি আসনে প্রার্থী দিতে পারত না বিজেপি। তৃণমূল মুখপাত্রের মতে, বিজেপির কোনও উন্নয়নমূলক, ইস্যু ভিত্তিক প্রচার নেই। সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলে, বিভাজনের রাজনীতিতে ভোটের ময়দানে ফায়দা তুলতে চাইছে তারা। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতবে তৃণমূল। দোসরা মে-র পরে কৃষ্ণনগর-নবদ্বীপ জুড়ে সবুজ আবির খেলা হবে বলে মঞ্চ থেকে জানান কুণাল। তাঁর কথার সমর্থনে তখন সভা জুড়ে করতালি। একইসঙ্গে আওয়াজ ওঠে “খেলা হবে”।

Advt

Previous articleকরোনার আজব ‘সতর্কতা’, ২দিনে ৪ সভার বদলে একদিনেই সব সভা মোদির
Next articleজামিন পেতে প্রভাব খাটাচ্ছে বিজেপি’র রাকেশ সিং, গুরুতর অভিযোগ পামেলার বাবার