কোভিড সংকট : মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়ার বিধি শিথিল রাজ্যের

এ কোন দৃশ্য দেখছে দেশবাসী! চারিদিকে শুধু হাহাকার। হাসপাতালে বেড নেই। অক্সিজেনের সংকট। কোভিড রোগীরা মারা যাচ্ছেন অক্সিজেনের অভাবে। শশ্মানে নিভছে না আগুন। কবরস্থানে মৃতদেহ রাখার জায়গা নেই। করোনার জেরে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেশে। বাংলাতেও খানিকটা তেমনই অবস্থা। পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশই বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। এ রাজ্যে এমনই পরিস্থিতি যে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে অনেকে বাড়িতেই মারা যাচ্ছেন তাঁদের মৃতদেহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বড়িতেই থাকছে। স্থানীয় পুরসভাকে খবর দেওয়া হলেও প্রশাসনের তরফে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করা হচ্ছেনা। এমন অবস্থায় মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়ার বিধি শিথিল করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে বল হয়েছে, যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যান তাহলে তিনি শেষ যে চিকিৎসককে দেখিয়েছিলেন তিনি ডেথ সার্টিফিকেট বা মৃত্যুর শংসাপত্র দিতে পারবেন। এছাড়াও বলা হয়েছে, এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সময় যদি কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হয় তাহলে শেষ তিনি যেখানে ভর্তি ছিলেন সেখান থেকে মৃতের ডেথ সার্টিফিকেট দেবে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, এহেন অবস্থায় মৃতের বাড়ির সদস্যরা যদি কোনও সমস্যার মধ্যে পড়ে তাহলে প্রশাসনের ,সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। কলকাতার ক্ষেত্রে কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য আধিকারিক, সমস্ত পুরসভার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং প্রাক্তন সরকারি অফিসার, গ্রামাঞ্চলে বিডিও এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

আরও পড়ুন-পরিস্থিতি ভয়াবহ, অক্সিজেনের অভাবে এবার দিল্লি ও অমৃতসরের হাসপাতালে মৃত ৩১

গতকালই এমন একাধিক জায়গার খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যেখানে ১৪-১৫ ঘণ্টা মৃতদেহ পড়ে ছিল। খবর দেওয়া হলেও কেউ আসেনি। তারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছিলেন। ঘটনা কলকাতার গড়ফা, সোনারপুর এবং কৃষ্ণনগরের।

Advt

Previous articleচাপে পড়ে পিছু হটল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, রাজ্য সরকারগুলিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা
Next articleমে মাসের মাঝামাঝি সর্বোচ্চ সংক্রমণ, অগাস্ট পর্যন্ত মৃত্যুমিছিল! করোনাবার্তা বিজ্ঞানীদের