Sunday, August 24, 2025

৪ মাস আগে ভোটের ফল নিয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তৃণমূলের (Tmc) ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। রবিবার, ইভিএম (Evm) খোলার পর তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। এই নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে তুমুল চর্চা, তখন প্রশান্ত কিশোর জানিয়ে দিলেন, আর ভোটকুশলী হিসেবে কাজ করতে চান না তিনি। চার মাস আগে ভোটবাক্সের যে হিসেব কষে দিয়েছিলেন এদিন তা অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছে। সংখ্যাতেই আটকে রয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতেই সহকর্মীদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে নিজের সংস্থা আইপ্যাক ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন পিকে। পিকে জানান, ‘‘দিদিকে সাহায্য করতে পেরে আমি খুশি। এর মধ্যেও জানাচ্ছি যে আমি আর এই কাজ করতে চাই না। অনেক হয়েছে। সহকর্মীদের হাতে আইপ্যাকের দায়িত্ব তুলে দিয়ে অন্য কিছু করতে চাই আমি”। কিন্তু কী করতে চান তিনি? সে কথা অবশ্য স্পষ্ট করেননি প্রশান্ত কিশোর।

আরও পড়ুন-কংগ্রেসকে স্থায়ীভাবে কফিনে ঢোকালেন প্রদেশ নেতারা, কণাদ দাশগুপ্তর কলম

গত ২০১৯-এর পর থেকে বাংলায় দাপট দেখানোর চেষ্টা করেছে পদ্ম শিবির। সেই পরিস্থিতিতে তাঁর কৌশলই তৃণমূলকে সাফল্যের রাস্তা দেখিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এর আগে নিজে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন পিকে। নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) জেডিইউ-এর (Jdu) সহ সভাপতি পদে ছিলেন। কিন্তু বিহারে নীতীশ বিজেপি-র (Bjp) হাত ধরার পরেই দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন পিকে। এ বার কি বাংলার সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যেতে পারে তাঁকে? যদিও এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।

তবে এই নির্বাচনে কমিশনের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন প্রশান্ত। তাঁর মতে, কমিশন যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করত, তাহলে বিজেপি যত টুকু ভোট পেয়েছে, তার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারত না। এবার প্রশান্ত কিশোরকে কী ভূমিকায় দেখা যাবে সেটা জানতেই উৎসুক রাজনৈতিক মহল।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version