আদালতে বিচারপতিদের কথোপকথন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে বলে সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট।‘নির্বাচন কমিশনকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করা যেতে পারে’, এমনই মন্তব্য করেছিলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি। আর সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কমিশন। সোমবার ছিল সেই আবেদনের শুনানি। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও এম আর শাহের বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি হয়।
সোমবার শীর্ষ আদালত সাফ জানায়, আদালতের পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করা থেকে সংবাদমাধ্যমকে বিরত করা যায় না। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, ‘আদালতে যে কোনও আলোচনাই জনস্বার্থে করা হয়, তাই সেই আলোচনা মানুষের জানা উচিত। কীভাবে বিচরপতি ও আবেদনকারীর মধ্যে কথোপকথনের মাধ্যমে বিচারপ্রক্রিয়া এগোচ্ছে, সে কথাও সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া দরকার।’ বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমরা চাই আদালতে কী হচ্ছে, তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ হোক সংবাদমাধ্যমে। এতে বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।’
প্রসঙ্গত ,এদিন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, ‘কমিশনের কী কাজ, তা না জেনে মাদ্রাজ হাইকোর্ট আমাদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিল। এই মন্তব্যের সঙ্গে মামলার কোনও সম্পর্ক ছিল না। আমরা কেবল এই মন্তব্য সম্পর্কে কথা বলছি।’ তাঁর দাবি, নির্বাচন কমিশনকে মানুষ হত্যা করার অভিযোগ দায়ের করা অনুচিত। জনসভায় কম লোক থাকার আবেদন কেন আগে জানাল না কমিশন? আদালতের এই প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী যদি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ২ লক্ষ লোকের সমাবেশ করে থাকেন, তবে কমিশন জনতার দিকে গুলি চালাতে বা লাঠিপেটা করতে পারেন না। এটি দেখা বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির কাজ।’ মূল রায়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও কেন এই ধরনের মন্তব্য করা হল, সেটাই ছিল নির্বাচন কমিশনের মূল অভিযোগ। বিচারপতিদের করা এই ধরনের মন্তব্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত নয় বলেও দাবি করে কমিশন।
