Monday, December 15, 2025

বিরোধী দলনেতা কে? বিজেপির অন্দরেই আদি-তৎকাল প্রবল লড়াই

Date:

Share post:

রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা কে হবেন? আপাতত সে নিয়ে বিজেপির অন্দরে নানা টানাপোড়েন। একদিকে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতা ধরেই নিয়েছেন, প্রাক্তন মন্ত্রী, তিন বারের বিধায়ক শুভেন্দু পদটা পেয়েই গিয়েছেন। পালটা মুকুল শিবিরেরও দৌরাত্ম অব্যাহত। চাপ রাখতে মুকুল মৌনতা নিয়েছেন। পরে বলব বলে সাসপেন্স তৈরি করেছেন। কিন্তু তাতে কী ভবি ভোলবার? গতবারের বিজেপি পরিষদীয় নেতা মনোজ টিগগা নিশ্চিতভাবে দৌড়ে আছেন। সোমবার দুপুরে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক। সেখানে বসার আগে সব শিবিরই গুটি সাজাচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কাদের প্রার্থীর গায়ে সিলমোহর দেয়, তারই অপেক্ষা।

মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজের পিছনে আদি বিজেপির অধিকাংশ দলীয় নেতা আছেন। তাঁরা কেন মুকুল-শুভেন্দুর পাশে কেন নেই, তার ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন দিল্লির নেতৃত্বকে। তাঁদের যুক্তি কী?

এক. মুকুল বা শুভেন্দু বিরোধী দলনেতা হলে আজ না হয় কাল নারদা ও সারদা মামলা আসবেই। তখন এদেরকে বাঁচানোটা একটা বড় দায় হয়ে দাঁড়াবে দলের। মুখ বাঁচাতে তখন মাঝপথে সরিয়ে দিতে হলে আর একবার মুখ পুড়বে বিজেপির।

দুই. দলের মধ্যে প্রবলভাবে যে প্রশ্নটা উঠেছে তা হল, এরা যদি এসেই সব ‘লোভনীয়’ পদগুলি পেয়ে যায়, তাহলে তো আদি বিজেপি বলে দলে আর কিছুই রইল না। প্রার্থী নির্বাচনে যা হয়েছিল, তা তো বিরোধী দলনেতা নির্বাচনেও দেখা যাবে! ফলে দলের মধ্যে আদি বিজেপির অস্তিত্ব সঙ্কট হতে বাধ্য। এভাবে দলবদলুদের হাতে দল তুলে দেওয়ার অর্থ দলটার ‘সত্যনাশ’।

তিন. বিরোধী দলনেতাকে কেন্দ্র করে দলটার মধ্যে যদি একটা আলাদা ভরকেন্দ্র তৈরি হয়ে যাবে যদি মুকুল বা শুভেন্দু দায়িত্ব পান। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলনেতা আর প্রদেশ সভাপতিকে কেন্দ্র করে রাজ্য বিজেপি দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। একদিকে আদি, অন্যদিকে তৎকাল। এটাই আগামিদিনে দলের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

চার. রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কোনঠাসা করে রাখার ফল কী হয়, তা দিল্লির নেতৃত্ব হাড়ে হাড়ে বুঝেছে। লোকসভায় দিলীপকে খোলা মনে খেলতে দেওয়া হয়েছিল, তিনি সাফল্য দিয়েছেন। আর বিধানসভায় দলবদলুদের পাল্লায় পড়েন কেন্দ্রীয় নেতারা। তার ফলও পেয়েছেন। এবার দিলীপকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া উচিত আগামিদিনের কথা ভেবেই।

সোমবার দুপুরে এই বিতর্কের অবসান হলেও অন্দরের খবর, দিল্লির নেতৃত্ব নাকি বিজেপির প্রাণ ভোমরাটাকে তৎকাল বিজেপির হাতেই তুলে দিয়েছেন!

Advt

 

 

 

spot_img

Related articles

আবাসনের মধ্যে ভোটকেন্দ্র! আপত্তি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের 

আবাসনের মধ্যে ভোটকেন্দ্র করার বিরোধিতা করে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে চিঠি পাঠালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তবে এই...

বেঙ্গল সুপার লিগের সূচনা, চ্যাম্পিয়নরা খেলবে সরাসরি আইএফএ শিল্ডে

শ্রাচী স্পোর্টসের উদ্যোগে শুরু হল বেঙ্গল সুপার লিগ(Bengal Super League)। রবিবার বিকেলে মালদহে এই মেগা টুর্নামেন্টের জমকালো উদ্বোধন...

তৃতীয় টি২০ ম্যাচে সহজ জয়ের মধ্যেই কাঁটা সূর্যের ব্যাটিং ব্যর্থতা

তৃতীয় টি২০ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জিতল ভারত(India)। রবিবার টস টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত(India)।...

নির্বাচনের আগে ইভিএম চেকিংয়ে কঠোর নজরদারি! অবজারভার পাঠালো কমিশন 

২০২৬ সালের রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন এবার আরও কড়া নজরদারি করছে ইভিএমের ফার্স্ট লেভেল চেকিং...