Monday, May 5, 2025

কোচবিহারে রাজ্যপালকে কালো পতাকা, ধনকড়কে ‘অতৃপ্ত বৃদ্ধ’ বলে কটাক্ষ কুণালের

Date:

সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটের তৃতীয় দফার দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দেখা করতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। যাওয়ার পথে তাঁকে কালো পতাকা নিয়ে “গো ব্যাক” স্লোগান (Slogan) দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ-প্রশাসনকে।

আমজনতার ক্ষোভের মুখে পড়া রাজ্যপালকে আড়াল করে রাখতে হিমশিম খায় পুলিশ-প্রশাসন। ক্ষুব্ধ জনতার বক্তব্য, প্রায় এক মাস আগে ঘটনা ঘটলেও রাজ্যপালের এলাকায় আসতে এত দেরি হল কেন সেটা প্রকাশ্যে জানাতে হবে। কোচবিহারের মাথাভাঙার জোড়পাটকি নাগরিক মঞ্চের তরফে ওই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যানার, পোস্টারে রাজ্যপালকে ‘অপদার্থ’ বলেও কটাক্ষ করেছে মঞ্চ।

আরও পড়ুন:দেশে অক্সিজেনের জোগান দিতে ফ্রান্স থেকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট আনছেন সোনু সুদ

বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কোনও সরাসরি মন্তব্য করেননি রাজ্যপাল। তবে, তিনি জানান, সংবিধানের নিয়ম মেনেই তিনি কোচবিহারে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চান। সে জন্যই কোচবিহার সফরের সিদ্ধান্ত নেন বলেও দাবি করেছেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গে আরও এক ধাপ এগিয়ে রাজ্য থেকে অসমে (Assam) গিয়েছেন তাঁদের দেখতে সেখানে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু, কবে যাবেন তা স্পষ্ট নয়। যে হেতু এক রাজ্যের রাজ্যপাল অন্য রাজে যেতে হলে কিছু সাংবিধানিক নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক, সেটা মেনেই ধনকড়কে অসমে যেতে হবে।

রাজ্যপালের এই সফরের কড়া সমালোচনা করেন তৃণমূল (Tmc) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, রাজ্যপাল ‘অতৃপ্ত বৃদ্ধ’। রাজ্যে বিপুল সংখ্যারগিষ্টতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। ক্ষমতায় এসেই শীতলকুচির নিহতদের পরিবারকে সাহায্য ও চাকরি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট-পরবর্তী হিংসায় নিহতদেরও পরিবারকেও আর্থিক সাহায্য করছেন। কিন্তু জগদীপ ধনকড় এই পরিস্থিতিতেও শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চাইছেন।

এদিন দুপুরে রাজ্যপাল কোচবিহারে পৌঁছন হেলিকপ্টারে। কোচবিহার জেলা সদর থেকে তিনি যান মাথাভাঙার (Matahbhanga) শীতলখুচিতে। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটের সময়ে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। সেখানে পুর্নিবাচন হয়। ওই বিধানসভায় অবশ্য বিজেপি জিতেছে। কিন্তু, গোটা রাজ্যে তৃণমূল ২১৩টি আসন পেয়ে ফের ক্ষমতাসীন হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তার পরেই তৃণমূলের আক্রমণের জেরে মাথাভাঙা সহ কোচবিহারের নানা এলাকার অনেক বাসিন্দা লাগোয়া রাজ্য অসমে গিয়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল তা মানতে নারাজও। যদিও তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে রাজ্য সরকার শীতলখুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত ৪ টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি পরিবারের একজনকে রাজ্য সরকার স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরিও দিয়েছে। শুধু ওই চারজন নয়, ভোটের দিন নিহত বিজেপি সমর্থক আনন্দ বর্মণের পরিবারকেও সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।

রাজ্যপাল কোচবিহার সফরের সিদ্ধান্ত নিলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া সমালোচনা করেন। কিন্তু রাজ্যপাল সে সব উপেক্ষা করে এদিন কোচবিহারে যান। সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তার পরেও তিনি জানিয়ে দেন, এবার তাঁর গন্তব্য, অসমে আশ্রয় নেওয়া কোচবিহারের বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবির। অর্থাৎ রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত যে রাজ্যপাল বাড়াতে চান সেই বার্তাই যেন স্পষ্ট করেছেন তিনি।

Related articles

এক বাইকে চারজন! উল্টোডাঙা উড়ালপুলে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত ২, আহত ২

ট্রাফিক নিয়ম ভাঙার চরম মাশুল দিলো চার বাইক আরোহী যুবক। সোমবার ভোরে উল্টোডাঙা উড়ালপুলে (Ultadanga flyover) ভয়াবহ দুর্ঘটনায়...

দুপুরে মুর্শিদাবাদ রওনা মুখ্যমন্ত্রীর, সেজে উঠেছে বহরমপুর

সামশেরগঞ্জে ওয়াকফ আন্দোলন ঘিরে অশান্তির পরে মুখ্যমন্ত্রী আক্রান্ত স্থানীয়দের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন ভরসা রাখার। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবার...

Breakfast News: আজ মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

১) মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ অশান্তির পরে সাধারণ মানুষের পাশে মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার রওনা দিচ্ছেন মুর্শিদাবাদ ২) সোমবার বহরমপুর পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা...

বিশ্বের বাঙালিদের পাশেই মুখ্যমন্ত্রী: লন্ডনে চর্চায় আপন বাংলা পোর্টাল

পরিবার-পরিজন থেকে মাতৃভূমির শিকড়ের টান। প্রবাসের সঙ্গে বাংলার যোগাযোগ রাখতে অনাবাসীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আপন...
Exit mobile version