এক দশক আগে, ২০১১ সালের ২০ মে তারিখেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ৩৪ বছরের বাম-অপশাসন আর রক্তাক্ত অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটিয়ে সেদিন ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলো তৃণমূল৷ পরিবর্তনের ডাক দিয়ে রাজ্যে প্রথমবার ক্ষমতায় আসে মা-মাটি-মানুষের সরকার। বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুরু হয় এক নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়।

এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি তৃণমূল সুপ্রিমোকে৷ ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল সরকার বাংলার উন্নয়ন,সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর সামগ্রিক উন্নতি ঘটিয়েছে৷ এই কর্মকাণ্ড বহমান৷ ২০১১ থেকে ২০২১, পর পর তিনটি বিধানসভা ভোটের ফল প্রমান করেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প বাংলায় নেই৷ এ রাজ্য বার বার বুঝিয়েছে, ‘নিজের মেয়েকেই চায় বাংলা’৷
বৃহস্পতিবার ক্ষমতায় আসার এক দশক পূর্তির দিনে রাজ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূল সরকারের এক দশক পূর্তির দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন, “১০ বছর আগে এই দিনেই প্রথম বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলাম। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সেবা করার পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন পথে যাত্রা শুরু করেছি। আমার প্রতি অবিচল আস্থা এবং আশীর্বাদের জন্য মা-মাটি-মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, বাংলাকে উচ্চতর অবস্থানে পৌঁছে দেব”।
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রথম বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন মমতা। এরপর ২০১৬ সালের ২৬ মে দ্বিতীয় বার এবং ২৯২১-এর ৫ মে, তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি৷

তাই, বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০ মে ২০১১ এক অবিস্মরণীয় দিন। সেদিন যে যাত্রা শুরু হয়েছিলো, তা আজও এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে৷ ৩৪ বছরের বাম রাজত্বের অপশাসন ও রক্তাক্ত অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটিয়ে অগ্নিকন্যার নেতৃত্বে সেই দিনটিতেই বাংলাকে দেশের সেরা আসনে বসানোর যে যজ্ঞ শুরু হয়েছিলো, সেই যজ্ঞ সফল এবং তা মেনেও নিয়েছে গোটা দেশ৷

আর ওই জয়যাত্রার নিশান আজ গোটা দেশকে এক বিন্দুতে দাঁড় করানোর এক মহতী লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে৷ ধর্মের রাজনীতি যাতে এ দেশের সুমহান ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্যের ভিত্তিকে কলুষিত করতে না পারে, আগামীদিনে ভারতবর্ষের সেই ছবিকে ফিরিয়ে আনতে নতুন লড়াই শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

জয় শুধুই সময়ের অপেক্ষা ৷

আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় পরীক্ষা ছাড়াই পরের শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হবে পড়ুয়ারা, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
