বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বিরোধীনেতা, অন্য রাজ্যে নয় কেন, শোরগোল গোটা দেশে

প্রধানমন্ত্রীর ইয়াস- পর্যালোচনা বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা৷ ঘটনাচক্রে তিনি বিজেপি দলভুক্ত ৷ মোদির এই কাজকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুললেন বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব এবং গুজরাতের কংগ্রেস নেতা ভরত সোলাঙ্কি ৷ মোদির রাজ্য গুজরাতের কংগ্রেস নেতা ভরত সোলাঙ্কি এদিন প্রশ্ন তুলেছেন, “ঘূর্ণিঝড়ের পর্যালোচনা বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে থাকতে বলা হয়েছে৷ তাহলে গুজরাতে ঘূর্ণিঝড় ‘তখত’-এর পর প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে গুজরাতের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস বিধায়ক পরেশ ধনানিকে কেন সেদিন ডাকা হয়নি ? তিনি কি ভুলে গিয়েছিলেন ? গুজরাতের শাসন ক্ষমতায় বিজেপি আছে বলেই কি এমন ‘অন্য’ আচরণ ?” একই সুরে মোদিকে বিঁধেছেন বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবও৷

তেজস্বীর কটাক্ষ, “যেসব রাজ্যে বিরোধী দলনেতার আসনে বিজেপির কোনও প্রতিনিধি নেই, সেখানেও কি এই ধরনের বৈঠকে বিরোধী দলনেতাদের ডাকা হবে ? আশা করছি, বাংলার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যে কাজ করেছেন, অন্য রাজ্যগুলিতে, যেখানে বিজেপি রয়েছে শাসন ক্ষমতায়, যেমন বিহারে, সেখানেও মোদি একই নীতি বজায় রাখবেন৷”

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর ‘রিভিউ’ বৈঠকে ডাকা হয় রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রের মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ৷ মোদির বৈঠকে এ রাজ্যের বিরোধী নেতাকে ডাকার পরই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস ও আরজেডি ৷ মোদির পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত এবং আচরণ নিয়ে মোক্ষম প্রশ্ন তুলেছেন গুজরাতের কংগ্রেস নেতা ভরত সোলাঙ্কি এবং আরজেডি সুপ্রিমো তেজস্বী যাদব৷ দু’জনেরই প্রশ্ন, “বিজেপি-শাসিত রাজ্যে এখন থেকে মোদি এই পথে হাঁটার সাহস দেখাতে পারবেন তো ?”