Thursday, December 18, 2025

মুর্শিদাবাদের পরে হুগলি: স্বজনহারাদের কাছে টেনে সাহায্যের আশ্বাস ‘ঘরের ছেলে’ অভিষেকের

Date:

Share post:

রাজ্যে 48 ঘণ্টায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে 32 জনের। খবর পেয়েই স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে গিয়ে দাঁড়াতে চান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধবার, মুর্শিদাবাদের পরে বৃহস্পতিবার তিনি যান হুগলিতে। আর সেখানেও শীর্ষস্থানীয় নেতা মতো নয়, একেবারে ঘরের ছেলের মতো বাড়ির উঠোনে বসে চোখের জল মুছে দিলেন শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির সদস্যদের। কাঁধে হাত দিয়ে বার্তা দিলেন, “পাশে আছি”।

সোমবার হুগলিতে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় 11 জনের। স্বজনহারা পরিবারগুলির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে বৃহস্পতিবার সেখানে যৃন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারকেশ্বর হাইস্কুল মাঠে নেমে প্রথমে অভিষেক যান হুগলির (Hoogli) পোলবায়। সেখান থেকে তারকেশ্বর এবং খানাকুলে যান। সেখানে বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য ক্যাম্প করা হয়। সেই শিবিরে মৃতদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পরিবারের তরফ থেকে চাকরি দেওয়ার আবেদন করা হয় বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর আগে বজ্রাঘাতে পোলবায় মৃত কিরণ রায়ের বাড়িতে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দুপুরে দেড়টা নাগাদ পৌঁছন তিনি। অভিষেককে দেখে কিরণের ছোটো দুটি মেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। তাদের সান্ত্বনা দিয়ে অভিষেক বলেন, “কোনও চিন্তা করবে না। সরকার পাশে আছে”। এই সময় কিরণ রায়ের স্বামী আর্জি জানান, সন্তান মানুষ করার জন্য তাঁর একটি চাকরির প্রয়োজন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। একই সঙ্গে শিশু দুটির লেখাপড়ার সমস্ত দায়িত্ব তৃণমূলের (Tmc) পক্ষ থেকে নেওয়া হবে বলে জানান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন জেলার প্রাক্তন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta), অসীমা পাত্র (Ashima Patra), অসিত মজুমদার (Asit Majumder)।

হিরণ রায়ের বাড়ি থেকে তাঁরা যান হারুন রশিদের বাড়ি। সেখানেও শোকোস্তব্ধ পরিজনদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সাহায্যের আশ্বাস দেন অভিষেক।

নেতা হিসেবে নয়, একেবারে ঘরের ছেলে হিসেবে বাড়ির ভেতরে ঢুকে উঠোনে বসে কথা বলেন। বজ্রাঘাতে কেউ হারিয়েছেন মাকে, কেউ বাবাকে, কেউ সন্তান, কেউ স্বামী বা স্ত্রী- প্রত্যেকের সঙ্গে সহমর্মিতায় কথা বলেছেন অভিষেক। সদ্য মা হারানো দুটি শিশুর মাথায় হাত রাখেন তিনি। রাজনৈতিক নেতা নন, একেবারে জননেতা হিসেবে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে দুঃখ ভাগ করে নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। শুকনো সমবেদনা নয়, ঘরে ছেলের মতোই চোখের জল মুছে দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন। বুধবার, মুর্শিদাবাদেও একইভাবে বজ্রাহতদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার, তার যাওয়ার কথা বাঁকুড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে।

spot_img

Related articles

হোটেল থেকে হোমস্টে, বড়দিনে জমজমাট শৈল শহরের বুকিং! 

উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভরপুর শীতের আমেজ, সঙ্গে আবার উৎসবের মরশুম- তাই উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সকলেরই ক্রিসমাস (Christmas time) ডেস্টিনেশন...

আজ থেকে ‘নো ম্যাপিং’ ভোটারদের নোটিশ পাঠানো শুরু কমিশনের

বঙ্গে এসআইআর (Special Intensive Revision) পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর এবার শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর)...

নিউটাউনের ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধ্যার পর...

বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ: বিনিয়োগের বার্তা নিয়ে শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে শিল্প ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’। ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে...