Thursday, November 13, 2025

নির্বাচন-পরবর্তী বিজেপি(BJP) ছেড়ে তৃণমূলে(TMC) ফেরার ঢেউ লেগেছে রাজ্য রাজনীতিতে। শুক্রবার চার বছরের সম্পর্ক কাটিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়(Mukul Roy)। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিতে কে থাকবে? আর কে থাকবে না? তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে শীর্ষ নেতৃত্বের। দল বদলুদের ট্রোজান হর্সের(trojan horse) সঙ্গে তুলনা করেছেন প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়। দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ক্ষমতালোভীদের দলে রাখা হবে না। এমন টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝে মূলত শীর্ষ নেতৃত্বকে টার্গেট করে পাল্টা টুইট করে বসলেন বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত(Swapan Dasgupta)। জানালেন, ২০১৯ সালের পর থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সকল নেতা বিশ্বাসঘাতক নন। বিজেপি সংসদের টুইটের পর দলবদলু ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে যে অন্তর্কলহ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তা প্রকাশ্যে চলে এলো।

আরও পড়ুন:নিউটাউন গুলিকাণ্ডে যোগ থাকার সন্দেহে ভাঙড় থেকে আটক পাঞ্জাবের ৪ বাসিন্দা

সোমবার দিলীপ ঘোষ, তথাগত রায়দের বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে এক টুইট করেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি লেখেন, “২০১৯ সালের মে মাসের পরে যারা বাংলায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাদের প্রত্যেককে ‘ট্রোজান হর্স’ হিসাবে দেখা ভুল। অনেক নতুন নেতা আন্তরিকতার সঙ্গে দলে যোগ দিয়েছেন এবং নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে এই ধরনের ভাবনা তাদের ভেতর তৈরি হতে দেওয়া কখনোই কাম্য নয়। রাজনীতি বাদ দেওয়ার খেলা নয়, রাজনীতির লক্ষ্য সমর্থক বাড়ানো এবং নতুন নেতা তৈরি করা।” অবশ্য যারা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থের জন্য দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের উদ্দেশেও এদিন বার্তা দেন স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, “যারা একটি রাজনৈতিক দলকে স্বার্থসিদ্ধির বাহন হিসেবে দেখে তাদের জন্য দলের দরজা খোলা রয়েছে অন্য বিকল্প খোঁজার।”

এদিকে একের পর এক দলীয় নেতা বিজেপি বিমুখ হওয়ার পর এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিলম্বিত বোধোদয়ের ঘূর্ণাবর্তে পাক খাচ্ছে বিজেপি। এটা তখন মনে হওয়া উচিত ছিল যখন নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে ভেঙে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছিল ওরা। এই বোধোদয়টা অনেক আগে হওয়া উচিত ছিল বিজেপির। যতদিন যাবে এই সমস্যাটা বাড়তেই থাকবে ওদের।”

উল্লেখ্য, মুকুলের দলত্যাগের পর সম্প্রতি এক টুইট করেছে দেখা গিয়েছিল রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়কে। মুকুল রায়কে ইলিয়াড মহাকাব্যের ট্রয়ের ঘোড়ার সঙ্গে তুলনা করে টুইটে তিনি লেখেন, “মুকুল রায় ছিলেন ট্রোজান হর্স। বিজেপি তাঁকে স্বাগত জানানোর পরে তিনি দলের সর্বভারতীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুললেন। দলের অন্দরের সমস্ত কথা বিস্তারিত ভাবে জেনে তৃণমূলে ফিরে গেলেন।”

Related articles

“রিচার নামে স্টেডিয়াম ইতিহাস হয়ে থাকবে”, উচ্ছ্বসিত ঝুলন

শিলিগুড়িতে রিচা ঘোষের(Richa Ghosh)  নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে শিলিগুড়িতে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নামে...

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...
Exit mobile version