করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রূপ বদলে এখন ডেল্টা প্লাস!

ভারতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পিছয়ে দায়ী ছিল SARS-CoV-2 ভাইরাসের B.1.617.2 স্ট্রেন।ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের (Delta variant) নাম দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।কিন্তু এখন এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টেরও রূপান্তর ঘটেছে। বিজ্ঞানীরা এর নতুন নামকরণ করেছেন ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) বা AY.1 ভ্যারিয়েন্ট।

জানা গিয়েছে, ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল ট্রিটমেন্টের (monoclonal antibody cocktail treatment) বিরুদ্ধেও টিকে থাকতে সক্ষম। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে সম্প্রতি মান্যতা দিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্র্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।
পাব্লিক হেল্থ ইংল্যান্ড সাম্প্রতিকতম তথ্যে জানিয়েছে, ৭ জুন পর্যন্ত ভারতে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট ৬টি জিনোমের (genomes) মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানিয়েছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ৬৩টি জিনোম রয়েছে যার মধ্যে নতুন K417N মিউটেশন উপস্থিত।

দিল্লির CSIR এবং ইনস্টিটিউট অফ জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজির (IGIB) এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, দ্রত সংক্রমিত হওয়া ভ্য়ারিয়েন্ট B.1.617.2.1, যা AY.1 হিসেবে পরিচিত, সেখানে K417N মিউটেশন রয়েছে। এর জন্য SARS-COV-2 ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনই দায়ী। এটি হল সেই স্পাইক প্রোটিন যা মানুষের কোষে প্রবেশ করে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটায়। শুধুমাত্র ভারত নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, জাপান, পর্তুগাল, পোল্যান্ড, তুরস্ক, নেপাল এবং সুইজারল্যান্ডের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এই ‘ডেল্টা প্লাস’ ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। যা নিয়ে রীতিমতো কপালে ভাঁজ বিজ্ঞানীদের।

Previous articleকেন্দ্রের তরফে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন: বরাত বাতিল করল রাজ্য
Next articleSAIL-এর সদর দফতর কলকাতা থেকে সরানোর চক্রান্ত, প্রতিবাদে কেন্দ্রকে চিঠি অমিত মিত্রর