শুরু হয়েই বন্ধ শুটিং, বিহিত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ আর্টিস্ট ফোরাম

ফেডারশনের সঙ্গে আর্টিস্ট ফোরাম, প্রোডিউসারস গিল্ড ও চ্যানেলের তরজা অব্যহত। যার নিট ফল, করোনার নিয়মবিধি মেনে রাজ্য নির্দেশ অনুযায়ী স্টুডিও পাড়ায় শুটিং শুরুর প্রথম দিনেই ফের বন্ধ হয়ে গেল কাজ।আসলে ফেডারেশনের বার বার বিধি নিষেধে বিঘ্নিত হচ্ছে শুটিং।
রাজ্য সরকার বিধি মেনে শ্যুটিংয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিল। কিন্তু তবু কাটল না জট । এবিষয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চাইল আর্টিস্ট ফোরাম, প্রোডিউসারস গিল্ড ও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।

রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, বুধবার থেকেই ৫০ শতাংশ সদস্য নিয়ে কাজ শুরুতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এদিন সেই মতো শুরু হয় কাজ।

এদিকে গতকাল একটি নির্দেশিকা জারি করে ফেডারেশন। লকডাউনে বিধি নিষেধ অমান্য করে শ্যুটিং চালিয়ে গেছে যে সমস্ত ধারাবাহিক, তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফেডারেশনের নির্দেশ, যতক্ষণ না প্রোডিউসার গিল্ডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে ততক্ষণ জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা।

নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ‘কৃষ্ণকলি’, ‘মিঠাই’, ‘তিতলি’, ‘ওগো নিরুপমা’, ‘খড়কুটো’, ‘কী করে বলব তোমায়’, ‘অপরাজিতা অপু’, ‘গ্রামের রানি বিনাপানি’, ‘বরণ’, ‘রিমলি’, ‘ফেলনা’, ‘খেলাঘর’, ‘সাঁঝের বাতি’, ‘মোহর’, ‘ধ্রুবতারা’, ‘দেশের মাটি’। রয়েছে বেশ কিছু নতুন ধারাবাহিকের নামও। এই তালিকায় আছে ‘রিস্তো কি মাঞ্জা’, ‘মন ফাগুন’, ‘ধূলিকণা’, ‘সুন্দরী’।
ফেডারেশনের কোপে ২০টি মেগা সিরিয়াল, বন্ধ শ্যুটিং। আসলে
শ্যুট ফ্রম হোম নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছিল ফেডারেশন। তাঁদের অভিযোগ, শ্যুট ফ্রম হোমের কারণে ক্ষতি হচ্ছে দৈনিক মজুরিতে কাজ করা টেকনিশিয়ানদের। আর্টিস্ট ফোরাম, প্রোডিউসারস গিল্ড ও চ্যানেলের তরফ থেকে সমবেত ভাবে জানান হয়, তারা সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে চান। তাদের অভিযোগ, কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে শ্যুটিং-এর। তাঁদের বক্তব্য, ‘স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কাজ শুরুর ছাড়পত্র দিলেও কেন শ্যুটিং বন্ধের ডাক দিচ্ছে ফেডারেশন’। দু’পক্ষের টানাপোড়েনে আবারও প্রশ্নের মুখে শিল্পী-কলাকুশলীদের ভবিষৎ।

Previous articleবুধবার বৈঠকে শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা দ্রুত মেটানোর নির্দেশ দিল এফএসডিএল
Next articleফিনল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারাল রাশিয়া