কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মামলার শুনানি হবে আগামী ২৫ জুন ৷ হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ হলফনামা নিতে অস্বীকার করায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রী ৷ সেই মামলারই শুনানি হবে আগামী শুক্রবার ৷ মুখ্যমন্ত্রীর রুজু করা এই মামলাটি মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর এজলাসে নথিভুক্ত থাকলেও মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু৷ আইনি মহলের ধারনা, বিচারপতি বসু নিজে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে৷ এমন আশঙ্কা থেকেই তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর পরেই দ্রুততার সঙ্গে এদিনই মামলাটি পাঠানো হয় বিচারপতি বিনীত সারিন ও বিচারপতি দিনেশ মাহেশ্বরীর এজলাসে৷ নতুন এজলাস এদিনের শুনানিতে জানায় দাখিল করা হলফনামা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন৷ সুতরাং এই মামলা শোনা হবে আগামী ২৫ তারিখ৷

প্রসঙ্গত, গত ১৭ মে নারদ-কাণ্ডে গ্রেফতার হন রাজ্যের ৪ নেতা-মন্ত্রী। ওই ঘটনার প্রতিবাদে নিজাম প্যালেসের CBI দফতরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা৷ CBI-এর অভিযোগ,ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রীও। পাশাপাশি অভিযোগ, এই মামলার বিচার চলাকালীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এই ঘটনার পরেই CBI নারদ মামলা অন্যত্র সরানোর দাবি করে আদালতে৷ তাদের দাবি, প্রভাবশালীদের উপস্থিতির ফলে নিম্ন আদালতের শুনানি নিরপেক্ষ হয়নি এমন ধারণা তৈরি হবে জনমানসে। গত ২১ মে থেকে মামলা স্থানান্তর নিয়ে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে চলছে শুনানি। এই মামলায় পক্ষভুক্ত করা হয় মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীকে৷

গত ৯ জুন মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর তরফে হাইকোর্টে হলফনামা জমার দেওয়ার আবেদন জানান আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। কিন্তু CBI-এর আপত্তিতে আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। ফলে মুখ্যমন্ত্রী বা আইনমন্ত্রী তাঁদের বক্তব্য জানিয়ে হলফনামা পেশ করতেই পারেননি৷ মুখ্যমন্ত্রী মূলত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতেই হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জানান, এক পক্ষের সওয়াল শেষে নতুন করে হলফনামা নিলে তার উপর ফের আলোচনা হবে। তাই তখন মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা জমা নেয়নি হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের ৯ জুনের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী ৷
