Tuesday, August 26, 2025

হাওয়ালায় কয়েক দফায় ধনকড় নেন ১০.২৫ লক্ষ টাকা! অভিযোগ সাংবাদিক সঞ্জয়ের

Date:

রাজ্যের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে জৈন হাওয়ালায় মামলার সম্পর্কের কথা কয়েকদিন আগেই দাবি করেছিল রাজ্যের শাসক দল। এবার ওই মামলার একটি তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে ওই জৈন হাওয়ালায় মামলার যোগাযোগের ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
প্রখ্যাত সাংবাদিক তথা লেখক সঞ্জয় কাপুর রীতিমতো তথ্য-প্রমাণ দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন হাওয়ালায় মামলাতে ধনকড়ের যোগাযোগ ছিল ওতপ্রোত।

সালটা ছিল ১৯৯১। ব্লিৎজ পত্রিকার প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক সঞ্জয় কাপুর জৈন শিল্পপতিদের টাকা হাওয়ালায়ের মাধ্যমে কীভাবে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছেছে তা নিয়ে একের পর এক তদন্তমূলক প্রতিবেদন সামনে এনেছিলেন। সুপ্রিমকোর্টে জৈন হাওয়ালায় কেলেঙ্কারির শুনানির সময় সেই প্রতিবেদনের তথ্যগুলি প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হয়েছিল।

গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হাওয়ালায়া কেলেঙ্কারিতে সরাসরি ধনকড়ের যোগ থাকার অভিযোগ এনেছিলেন। এমনকি চার্জশিটেও তাঁর নাম আছে বলে তিনি দাবি করেছিলেন। এরপরেই সাংবাদিক বৈঠকে ধনকড় সাফাই দিয়ে জানিয়েছিলেন, এই মামলার সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই এবং চার্জশিটেও তার নাম নেই। যদিও তার কোনও স্পষ্ট প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি।

এরপরেই সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ এবং সঞ্জয় কাপুর মমতাকে সমর্থন করে জানিয়ে দেন যে তৃণমূল সুপ্রিমো যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ সত্য। হাওয়ালায়ের মাধ্যমে জৈনদের কাছ থেকে ধনকড় বিপুল পরিমাণ টাকা উৎকোচ হিসেবে নিয়েছিলেন। এমনকি মমতাকে সমর্থন করে সঞ্জয় কাপুর লেখেন, তার ১৯৯১ সালে জৈন হাওয়ালায় কেলেঙ্কারি নিয়ে যে বই প্রকাশিত হয়েছিল ,তাতে সমস্ত তথ্য প্রমাণ দেওয়া আছে। ওই বইতে ব্যাখ্যা করা আছে কীভাবে প্রতিবেদনটি কে কাজে লাগিয়ে জনৈক ব্যক্তি নিজের ইমেজ তৈরি করেছিলেন। এমনকি সঞ্জয় কাপুর এই কথাও জানিয়েছেন যে, জাগদীপ ধনকড় হাওলার মাধ্যমে কত টাকা নিয়েছিলেন । তার বিশদ তথ্য প্রমাণ তার প্রকাশিত বই ‘ব্যাড মানিব্যাগ ব্যাড পলিটিক্স’-এ স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে।

কেরলের ভাজপা ঘনিষ্ঠ রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান ঘুষ হিসেবে কয়েক দফায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা নিয়েছিলেন এবং জাগদীপ ধনকড় তিন চার দফায় ১০.২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ হিসাবে নিয়েছিলেন । সঞ্জয় কাপুর আরও জানিয়েছেন যে জগদীপ ধনকড় প্রতি দফায় কত টাকা করে নিয়েছিলেন তা এতদিন পর এই মুহুর্তে তার পক্ষে মনে করা সম্ভব হচ্ছে না।
শুধুমাত্র হাওয়ালায় কেলেঙ্কারি নিয়ে লেখা সঞ্জয় কাপুরের বইতেই নয়, বিনীত নারায়ণের অভিযোগ পত্রেও জৈন হাওয়ালায় কেলেঙ্কারিতে ঘুষ নেওয়ার প্রসঙ্গে এই দুই রাজ্যপালের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তৃণমূল সুপ্রিমো ধনকড়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তা যতটা সহজে এড়িয়ে যেতে পারবেন বলে মনে করেছিলেন বাংলার রাজ্যপাল, তা কিন্তু তার পক্ষে সম্ভব নয়।

Related articles

রবি ঠাকুরের ‘কঙ্কাল’ থেকে ‘কনকচাপা’: পার্থর নাটক দেখতে ভিড় জিডি বিড়লা সভাঘরে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য ভাণ্ডার অবলম্বনে একের পর এক নাটক তৈরি হয়েছে— শারদোৎসব, রাজা, ডাকঘর, অচলায়তন, ফাল্গুনী, রক্তকরবী আজও...

২৮ অগাস্ট পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি অধ্যক্ষদের, চিঠি মুখ্যমন্ত্রী -শিক্ষামন্ত্রীকেও

তৃণমূল ছাত্রপরিষদের (টিএমসিপি) প্রতিষ্ঠা দিবসকে ঘিরে ফের সরগরম হয়ে উঠল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ২৮ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিতে...

বদমেজাজি! আমার ছবি এমনিও হলে চলে না, অকপট স্বীকারক্তি অঞ্জন দত্তের 

অভিনেতা–পরিচালক অঞ্জন দত্তকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে নানা বিতর্ক। অনেকেই তাঁকে ‘ঠোঁটকাটা’ বা ‘বদমেজাজি’ আখ্যা দেন। তবে এ...

চাঞ্চল্যকর ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরে! প্রতিশোধ নিতে শিক্ষকের হাতের কব্জি কেটে নিল যুবক

রোমহর্ষক ঘটনা! প্রতিশোধ নিতে শিক্ষকের হাতের কব্জি কেটে নিল যুবক। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর...
Exit mobile version