বিজেপির ‘ব্যর্থ’ নেতারা বহাল,উত্তরবঙ্গে ভালো ফল দেখিয়েও প্রথম কোপে কিশোর বর্মন

একুশের ভোটে বিজেপির ডাকসাইটে সব নেতা- নেত্রী মুখ থুবড়ে পড়লেও চমকপ্রদ ফল দেখিয়েছেন উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে থাকা কিশোর বর্মন৷ বস্তুত উত্তরবঙ্গের জোরেই ৭৭ আসন পায় গেরুয়া শিবির, নাহলে ৩০ আসন অতিক্রম করাও সম্ভব হতো না৷ আর উত্তরবঙ্গে দলকে এই সাফল্য এনে দেন রাজ্য বিজেপির সহ-সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কিশোর বর্মন৷

তবুও ভোটের পর বঙ্গ-বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলের প্রথম কোপ পড়লো ওই কিশোর বর্মনের ঘাড়েই৷ নির্বাচনে দুর্দান্ত ফল দেখিয়েও উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে থাকা কিশোর বর্মনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। তাঁকে পাঠানো হল ত্রিপুরায়, যে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ঢের দেরি আছে৷ বলা হচ্ছে, কিশোর যেহেতু ত্রিপুরার ছেলে, তাই তাঁকে পাঠানো হলো ওই রাজ্যে৷ পাল্টা প্রশ্ন উঠেছে, কিশোরের উত্তরবঙ্গের অভিজ্ঞতা কেন গোটা বাংলায় কাজে লাগানো না বিজেপি ?

নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দু’মাস পর বঙ্গ-বিজেপির
সাংগঠনিক রদবদলের প্রথমেই এভাবে কিশোর বর্মনকে বাংলা থেকেই সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দলের অন্দরে নানা প্রশ্ন উঠেছে৷ দলীয় স্তরেই বলা হচ্ছে, রাজ্য বিজেপির একজন শীর্ষনেতাও উল্লেখযোগ্য ফল দেখাতে পারেননি৷ দলের সভাপতির সংসদীয় এলাকাতেও দলের ফল হতাশজনক৷ কোনও পদাধিকারীই নিজেদের দায়িত্ব পালনে সফল হননি৷ অথচ যে যার পদে এখনও রয়েছেন বহাল তবিয়তে৷ আর দীর্ঘদিন উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে থাকা কিশোর বর্মন বিধানসভা নির্বাচনে দলের মুখরক্ষা করেছেন৷ তাঁকে রাজ্যস্তরে আরও বড় দায়িত্বে এনে কাজে লাগানো উচিত ছিলো৷ কিন্তু বড় নেতারা ব্যর্থ হয়েও যে যার জায়গায় টিঁকে গেলেন, আর কিশোর বর্মনকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো ভিনরাজ্য ত্রিপুরায়৷

রাজ্য বিজেপির সহ-সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) ছিলেন কিশোর বর্মন৷ উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷ আর দক্ষিণবঙ্গ দেখতেন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। অথচ, নির্বাচনে দক্ষিণবঙ্গে বিজেপি আশা অনুযায়ী ফল করতে ব্যর্থ হয়েছে৷ কিশোরকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দল তাঁকে পাঠিয়েছে ত্রিপুরায়। সেখানে সংগঠনের কাজ দেখবেন তিনি। কিশোরকে সরিয়ে দেওয়ায় দুই বঙ্গে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হলেন অমিতাভ চক্রবর্তী। এখন উত্তরবঙ্গও দেখবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে দিল্লির সিদ্ধান্তে বঙ্গ-বিজেপির সহ-সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর দায়িত্ব পান কিশোর। দলের গোষ্ঠীবিন্যাসের ধাক্কাতেই সরতে হল কিশোর বর্মনকে, এমন কথাও বলছেন বঙ্গ-বিজেপির একাধিক পদাধিকারী৷

আরও পড়ুন:বৈষম্যের নমুনা! বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ু থেকে পূর্ণমন্ত্রী শূন্য

 

Previous articleবৈষম্যের নমুনা! বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ু থেকে পূর্ণমন্ত্রী শূন্য
Next articleসৌমিত্রকে “পাগল-জোকার-অর্বাচীন” কটাক্ষ দিলীপের, কড়া বার্তা অমৃতাকেও