Saturday, November 15, 2025

‘শুভেন্দু তৃণমূলের এজেন্ট’, বিজেপির অন্দরে বেলাগাম বিবাদ

Date:

বিরোধী দলনেতার নির্দেশে বিধানসভার সব কমিটি থেকে সরে গেলেন বিজেপি বিধায়করা। এই ‘ত্যাগ’-এর কারণ, মুকুল রায়কে কেন PAC-র চেয়ারম্যান করা হয়েছে৷ স্রেফ ইস্তফা’ই নয়, দল বেঁধে মঙ্গলবার রাজ্যপালের কাছে নালিশও জানিয়ে এসেছেন তাঁরা৷ যদিও এ বিষয়ে শুধু নালিশ শোনা ছাড়া রাজ্যপালের কিছুই করনীয় নেই৷

আর এই ইস্যুতে গেরুয়া- অন্দরে কার্যত শুম্ভ- নিশুম্ভের লড়াইয়ের আবহ তৈরি হয়েছে এদিন সন্ধ্যা থেকেই৷ শুধু একে অপরের বিরুদ্ধে সামান্য তোপ দাগা’র মধ্যে মতবিরোধ সীমাবদ্ধ থাকেনি৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘তৃণমূলের এজেন্ট’ পর্যন্ত বলেছেন বঙ্গ-বিজেপির একাধিক নেতা ৷

বিধানসভার কমিটি থেকে বিজেপি বিধায়কদের ইস্তফা দেওয়ার একক সিদ্ধান্ত বিরোধী দলনেতার৷ এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে বিজেপির অভ্যন্তরে৷ একাধিক শীর্ষনেতার বক্তব্য, “এই সিদ্ধান্ত বিরোধী দলনেতার একার৷ ইস্তফা দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত অপরিনত৷ এভাবে তৃণমূলের বিরোধিতা করে বিজেপি নিজের ক্ষতি করলো৷ লাভ হলো শাসক দলের৷ শুভেন্দু অধিকারী পরোক্ষে তৃণমূলের সুবিধা করে দিলেন৷ বিজেপির অন্দরে তৃণমূলের ‘সিক্রেট এজেন্ট’ হিসাবে কাজ করছেন বিরোধী দলনেতা৷”

গুরুতর এই অভিযোগ তোলার কারণ ব্যাখ্যা করে ওই নেতারা বলেছেন, “এই প্রথমবার আমরা বিধানসভার এতগুলি কমিটির প্রধান হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো৷ এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে অনেকটাই চাপে থাকতো শাসক দল৷ কিন্তু ইস্তফা দিয়ে বিজেপি আসলে তৃণমূলেরই সুবিধা করে দিলো৷ তৃণমূলের পাতা ফাঁদে নির্বোধের মতো ধরা দিলো বিজেপির পরিষদীয় দল৷ শাসক দল এমনটাই চাইছিলো৷”

এখানেই শেষ নয়৷ পদ্ম-শিবিরের এক শীর্ষ নেতার সাফ কথা, ” ইস্তফা দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে হলে পদত্যাগ করতে পারতেন বিরোধী দলনেতা স্বয়ং৷ তাতে চাপ হয়তো জোরালো হতো৷ অথচ শুভেন্দু নিজের পদ বুক দিয়ে আগলে বলি দিলেন দলের বিধায়কদের৷ কোনও নেতা যদি এমন নগ্নভাবে নিজের স্বার্থ রক্ষা করে, তাহলে দলের বিধায়কদের মনোবল ভাঙ্গতে বাধ্য”৷ বিজেপির এই বলেছেন, “এবার হয়তো স্পিকারের হাতে-পায়ে ধরে ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করতে আর্জি জানাবেন শুভেন্দু ৷ এইভাবে ইস্তফা দেওয়ায় দলের লাভ কতখানি হলো? পুরো লাভ তুলে নিলো শাসক দল৷ নজরদারি করার কেউ আর রইলো না৷”

বঙ্গ-বিজেপির এই নেতাদের বক্তব্য, “মুকুল রায়ের PAC-র চেয়ারম্যান হওয়া আটকাতে পারলেন না শুভেন্দু, তার উপর দলের বাকি বিধায়কদেরও কমিটি থেকে ইস্তফা দেওয়ালেন৷ অথচ নিজে পদ ধরে রাখলেন? এ কেমন নেতা ? তৃণমূলের স্বার্থ কেন রক্ষা করলেন বিরোধী দলনেতা, তার জবাব চাওয়া হবে”৷

আরও পড়ুন- “PAC চেয়ারম্যান ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপাল যেখানে খুশি যাক!” শুভেন্দুকে কড়া জবাব স্পিকারের

Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...
Exit mobile version