‘তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত’, বৈঠকে বলেন প্রধানমন্ত্রী

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ খানিকটা কম হতেই বেড়েছে পর্যটকদের আনাগোণা। কমেছে সামাজিক দূরত্ব। করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে একাধিকবার সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবুও ভিড় কমার বালাই নেই। তৃতীয় ঢেউ যে অনিবার্য তা জানিয়ে দিয়েছে IMA। সেই প্রসঙ্গ টেনে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্কবাতা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন ‘তৃতীয় ঢেউকে রুখতে হবে’। আজ, মঙ্গলবার উত্তর-পূর্ব ভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনটাই বলেন তিনি।

লকডাউন শিথিল হতেই কোভিড বিধি নিষেধকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভিড় বাড়ছে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। এদিন পর্যটন নিয়ে মোদি বলেন,  “এটা সত্যি যে কোভিডের জেরে পর্যটন এবং ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে দুঃখের সঙ্গে এটাও জানাতে হচ্ছে যে ভাবে বিপুল সংখ্যক মানুষ শৈলশহরে যাচ্ছেন, বাজারে মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেটা ঠিক হচ্ছে না।”।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন করছেন দেশে তৃতীয় ঢেউ রুখতে কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতির থেকেও বড় কথা হল, কীভাবে তৃতীয় ঢেউ রোখা যায় , তানিয়ে চিন্তা করা।’এই প্রসঙ্গেই মোদী বলেন, ‘করোনা কখনও নিজে থেকে আসে না।’ তাঁর মতে, প্রতিনিয়ত সব প্রোটোকল মানলে, সাবধানতা বজায় রাখলে কোনোদিনই তৃতীয় তরঙ্গ আসবে না।’তবে  ভিড় বাড়লে সংক্রমণ বাড়বেই বলে সতর্ক করেছেন তিনি।  এদিন তিনি বলেন , গণটিকাকরণ চললেও তৃতীয় ঢেউকে যে করেই হোক রুখতে হবে। তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণের ওপর নজরদারি চালানোর কথা বলেন তিনি। এছাড়াও রাজ্যগুলিকে কোভিড টেস্টের ওপরও জোর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, উত্তর -পূর্ব ভারতের ত্রিপুরাতেও ডেল্টা প্লাস প্রজাতির সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই প্রজাতিই ভারতে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আসবে।  ইতিমধ্যেই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ও রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি যাচাই করতে অরুণাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরাতে কেন্দ্রীয় দলও পাঠানো হয়েছিল । তারপরও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি, যেমন অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরায় করোনা সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। তাই আজ উত্তর-পূর্ব ভারতের সকল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী।

Previous articleমঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা খুনের তদন্তে CID, বুধবার যাচ্ছেন অনুব্রত
Next articleসেপ্টেম্বর থেকেই ভারতে ‘স্পুটনিক ভি’-র উৎপাদন শুরু করবে সেরাম ইনস্টিটিউট