টার্গেট ২০২৪: মমতার সঙ্গে ফের দিল্লি যেতে পারেন অভিষেক

কেন্দ্র থেকে মোদি সরকারকে হটাতে বিজেপি-বিরোধী দলগুলির একজোট হওয়ার বার্তা একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই দিয়েছিলেন তৃণমূল (Tmc) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। ওই মঞ্চ থেকেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Bandyopadhyay)। সূত্রের খবর, শুক্রবার দিল্লি (Delhi) থেকে ফিরে ফের সোমবার তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে রাজধানী যেতে পারেন অভিষেক।

২০২৪-এর লড়াইয়ে কেন্দ্রের বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্যোগকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে চলেছেন অভিষেক। একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচির পরই দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ৷ বৃহস্পতিবার, সকালে সংসদ ভবনে তৃণমূলের ঘরে বৈঠকের পর দুপুরে দলের রণনীতি নির্ধারণ করতে ৭নম্বর মহাদেব রোডে তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের (Sukhendu Sekhar Roy) বাড়িতে বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরও (Prashant Kishor)। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে পেগাসাস নিয়ে সংসদে (Parliament) লাগাতার বিরোধিতা করে যাওয়ার নির্দেশ দেন অভিষেক। লোকসভার বাদল অধিবেশনে “বিজেপি কি জাসুসি নেহি চলেগি, তানশাহি নেহি চলেগি”- বলে আওয়াজ তোলেন অভিষেক। সূত্রের খবর, একইসঙ্গে অমিত শাহর কাছে পেগাসাস নিয়ে নটি প্রশ্ন করারও কথাও দলীয় সাংসদদের বলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর কেন্দ্রীয় সরকার না দেওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

আরও পড়ুন:অবশেষে ‘ঐক্যের’ বার্তা, পাঞ্জাবে ক্যাপ্টেনের চা-চক্রে হাজির সিধু

সূত্রের খবর, শুক্রবার দিল্লি থেকে ফিরে ফের সোমবার মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিল্লি যেতে পারেন অভিষেক। সংসদের অধিবেশনে মধ্যে মমতার সঙ্গে অভিষেকের দিল্লি সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সর্বভারতীয় স্তরে বিরোধী পক্ষের তরুণ প্রজন্মের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সমন্বয় এর কাজটা তৃণমূলের সর্বভারতীয় অসাধারণ সম্পাদক ভালো ভাবে করতে পারবেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের৷ কারণ, বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি- তিনটি ভাষাতেই সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন তিনি৷ দিল্লি গিয়ে বিরোধী শিবিরের একাধিক বর্ষীয়ান নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূলনেত্রী৷ প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও মমতার দেখা করার কথা। সেখানেও অভিষেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকেই। ২০২১-এর নির্বাচনে যেভাবে তৃণমূল সাংসদ রাজ্যজুড়ে দলের হয়ে প্রচার করে ছিলেন, ২০২৪-এ নির্বাচনের আগেও তাঁকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সেরকমই সক্রিয় দেখা যাবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

 

Previous articleপ্রবল বৃষ্টিতে মহারাষ্ট্রে ভূমিধস, মৃত ৩৬
Next articleসংসদভবনে শাহের কাছে শুভেন্দু, চটে লাল বিজেপিই