মালদহে সিপিএমের হাতছাড়া হলো আরো একটি পঞ্চায়েত

২১শের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পর থেকেই ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে মালদহ জেলায়৷ বৃহস্পতিবার ফের বড়সড় ভাঙন হল মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে কংগ্রেস ও সিপিআইএম শিবিরে৷বিরোধী শূন্য হল মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত।তাই সিপিআইএমের দখলে থাকা পঞ্চায়েত চলে গেল তৃনমূলের দখলে।খুশিতে মিষ্টি মুখ করালেন ব্লক সভাপতি।

 

জানা যায় হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সিপিআইএম পরিচালিত মালিওর-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তরিনা খাতুন,কংগ্রেস দলের উপ-প্রধান দিলীপ দাস ও কংগ্রেসের পঞ্চায়েতে সমিতির সদস্য গৌতম মহলদার সহ কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য‌ দুই জন ও সিপিআইএমের পঞ্চায়েত সদস্য একজন সহ মোট ছয়জন এবং প্রায় পাঁচ শতাধিক সাধারণ কর্মী এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন বলে খবর। মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট পঞ্চায়েত সদস্য সংখ্যা-৯, তার মধ্যে তৃনমূল-৪,কংগ্রেস-৩, সিপিআইএম-২, এবার তৃণমূল সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করায় পঞ্চায়েত দখল করে নিল তৃণমূল। এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের দক্ষিণ তালসুর গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে যোগদানকারীদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ হজরত আলী।বৃহস্পতিবারের যোগদান কর্মসূচি ঘিরে কার্যত উৎসব মঞ্চে পরিণত হয় তৃণমূলের কার্যালয় চত্বর৷মিথ্যা মামলা পুলিশের ভয় দেখিয়ে এই যোগদান বলে কটাক্ষ কংগ্রেসের,এই নিয়ে শুরু হয়েছে কংগ্রেস- তৃণমূলের রাজনৈতিক চাপানউতোর।

 

হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লক সভাপতি মহম্মদ হজরত আলী বলেন, ‘‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যবাসী যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন,তাতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখে তৃণমূলে যোগদান করেছেন৷ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের অন্তর্গত ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৮ টি তৃনমূল কংগ্রেস পরিচালিত ছিল। একমাত্র মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত সিপিআইএম পরিচালিত ছিল।মমতা ব্যানার্জির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধান,উপ প্রধান সহ মোট ছয়জন ও প্রায় পাঁচ শতাধিক সাধারণ কর্মী তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন।”

যোগদানকারী সিপিআইএম পঞ্চায়েত প্রধান তরিনা খাতুন বলেন “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উন্নয়নের কাজে সামিল হতে তৃণমূলে যোগদান করলাম ৷’’

কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল মাতিন বলেন,’মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতে চাই। মমতা ব্যানার্জির হাত শক্ত করতে এবং তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।

 

যদিও কটাক্ষের সুরে জেলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক মুস্তাক আলম বলেন পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এই নির্লজ্জ সরকার একের পর এক পঞ্চায়েত দখল করছে। মালিওর ২ পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে প্রধান বামফ্রন্টের ছিল এবং আমরা কংগ্রেস সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু তৃণমূল পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমাদের দলের এবং সিপিএমের সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান করালো। এর আগে একই ঘটনা সুলতান নগর এবং মালিওর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ঘটিয়েছে। ওরা তৃণমূলে গিয়ে যদি ভালো থাকতে পারে তাহলে থাকুক।

Previous articleমহানগরে এবার ন্যাশনাল ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর ভুয়ো আধিকারিক গ্রেফতার
Next articleচোখ রাঙাচ্ছে করোনা, অগাস্টের শুরুতেই দেশের দৈনিক সংক্রমণ ৪০ হাজারের উপরে