সিপিআইএমের তারুণ্যের নীতিতে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়তে পারেন কারা?

একুশের বিধানসভা ভোটে প্রার্থী তালিকা তারুণ্যের উপর জোর দিয়েছিল সিপিআইএম (Cpim)। এক ঝাঁক তরুণ মুখকে সামনে এনে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছিল বামফ্রন্ট সমর্থিত সিপিআইএম। তাতে জয় আসেনি, তবে একটা শোরগোল পড়ে ছিল একথা ঠিক। আর সেই জয় না আসার কারণ হিসেবেও যে তত্ত্ব উঠে এসেছিল, তার অন্যতম কারণ ছিল ভোটের আগে হঠাৎ করে তরুণ প্রজন্মকে সামনে নিয়ে আসা। কিন্তু আগে তাঁদের দলীয় সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় কমিটি রাজ্য কমিটি দু’জায়গাতেই এখনও বসে আছেন প্রবীণরা। এবার তারুণ্যের রাস্তায় হাঁটতে চলেছে সিপিআইএম। সম্প্রতি আলিমুদ্দিনে দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটিতে à§­à§«, রাজ্য কমিটিতে ৭২ এবং জেলা কমিটিতে ৭০ পার হলেই অবসর।

২০১১-তে পর থেকেই সিপিআইএমের ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামে। একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি হয় সিপিআইএম তথা বামফ্রন্টের। ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে একটি আসনও পায়নি সিপিআইএম। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাটা শূন্য। সবমিলিয়ে লোকসভা, রাজ্যসভা থেকে শুরু করে বিধানসভাতেও অস্তিত্বহীন বাংলার সিপিআইএম।

এই পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগেই সিপিআইএমের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা নেতা গৌতম দেব (Goutam Dev) বলেন, অশীতিপর নেতার কী বা দেওয়া থাকতে পারে দলকে! এরপর এই তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে আসার কথা সামনে আসে। এই পরিস্থিতিতে যদি সত্যি নিয়ম মানা হয়, তাহলে কারা বাদ পড়তে পারেন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে? প্রথমেই নাম আসবে বিমান বসুর (Biman Basu)। বর্ষীয়ান এই সিপিআইএম নেতা বয়স হচ্ছে 81। তালিকায় কাছাকাছি থাকছেন বৃন্দা কারাত (Brinda Karat)। এই অক্টোবরেই তাঁর বয়স 74 পেরিয়ে যাচ্ছে। তারপরেই রয়েছেন প্রকাশ কারাত (Prakash (Karat), 73 তিনি। বাহাত্তরে রয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। এঁদের থেকে কিছুটা তরুণ সীতারাম ইয়েচুরি। এখনও 70 পেরোননি তিনি। কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক নেতা মহম্মদ সেলিম 65 আশপাশেই আছেন। তবে, বাদ পড়তে পারেন বর্ষীয়ান নেতা হান্নান মোল্লা। কারণ ৭৫-এ রয়েছেন তিনি। সুতরাং এই নিয়ম চালু হলে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অনেক পক্ককেশ নেতারই বিদায় হবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। আর সেখানে একেবারেই তরুণদের নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছেন সুজন চক্রবর্তীর মতো নেতারা। এখন সেই প্রস্তাব কতটা গৃহীত হয় সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসে সাড়ে সাত হাজার বর্গফুটের পতাকা উত্তোলন করলেন রাজ্যপাল