Thursday, August 28, 2025

এবারের শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেতে চলেছেন জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ির দুই শিক্ষক। একজন বটতলি স্বর্ণময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জয় বসাক, অপরজন পূর্ব মল্লিকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিত কুমার দে।

অমিত কুমার দে নামটি শুধু উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছেই পরিচিত নয় দক্ষিণবঙ্গও ছড়িয়েছে তার নাম। ব্যক্তিত্বের গুনে তার খ্যাতি ছড়িয়েছে বিদেশেও। তিনি উত্তরবঙ্গের একজন স্বনামধন্য কবি এবং শিক্ষক। তার মুকুটে এবার নতুন পালক। শিক্ষা জগতের সব থেকে সম্মানীয় পুরস্কার শিক্ষারত্ন পেলেন তিনি। জলপাইগুড়ি জেলাতে ধুপগুড়ি থেকে বারঘরিয়া বটতলী স্বর্ণময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জয় বসাক এবং পূর্ব মল্লিকপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত কুমার দে এবছর শিক্ষারত্ন পুরস্কার পান। শিক্ষারত্ন পাওয়ার পথ চলাটা অতটাও সোজা ছিল না, নিজের অদম্য ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে, বহু সংগ্রামের পর তার এই স্বীকৃতি।১৯৯৩ সালে তৎকালীন নাথুয়াহাট বানিয়াপাড়া চৌরাস্তা হাই স্কুলে প্রথমে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে বৈরতিগুরি হাইস্কুল, এবং 2006 সালে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন পূর্ব মল্লিকপাড়া হাইস্কুলে। স্কুল যোগদানের পরবর্তী সময় থেকেই একের পর এক পুরস্কার ছিনিয়ে আনেন পূর্ব মল্লিকপাড়া হাই স্কুল, নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার, শিশু মিত্র পুরস্কার, যামিনী রায় পুরস্কার পেয়েছেন। ২০২১ এ তিনি পেলেন শিক্ষার সর্বোচ্চ সম্মান শিক্ষারত্ন। রাজ্য শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে প্রত্যেক বছরই প্রত্যেক জেলার সেরা শিক্ষক মনোনীত করে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় থাকে।

 

অন্যদিকে জানা গেছে ধুপগুড়ি ব্লকের বারঘরিয়ার মত প্রান্তিক এলাকায় প্রাথমিক স্কুল অবস্থিত হওয়ার পরেও সকলের নজর কেড়েছে, বারঘরিয়া বটতলী স্বর্ণময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

স্কুলটি ঝাঁ-চকচকে থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়ন এর জন্য ২০১৭ সালে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার, ২০১৮ সালে জেলার সেরা শিশু মিত্র বিদ্যালয় পুরস্কার, ২০০৯ সালে সার্টিফিকেট অফ অ্যাপ্রিসিয়েশন পুরস্কার পায়। আর এই ভাবেই জয় বসাক টিচার ইনচার্জ হওয়ার পরেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকাঠামোর কাজে ব্রতী হয়েছিলেন আর যার ফলে এই সাফল্য বলে তিনি জানান।

তবে জেলার দুটি সেরা পুরস্কারই এবার ধূপগুড়িতে পাওয়ায় খুশির হাওয়া বইছে শিক্ষা অনুরাগী মানুষের মধ্যে।

 

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version