Monday, August 25, 2025

‘ধৈর্যর পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে’, ট্রাইবুনাল সংশোধনী আইন নিয়ে সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে কেন্দ্র

Date:

ট্রাইব্যুনালের সংশোধনী আইন নিয়ে নির্মাণ কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করল দেশের শীর্ষ আদালত। কেন ট্রাইব্যুনালের ফাঁকা পদ পূরণ করায় গড়িমসি করা হচ্ছে তা কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফ। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ‘বিধানের ভার্চুয়াল প্রতিলিপি আদালত কর্তৃক বাতিল করা হয়েছে।’

চলতি বাদল অধিবেশনের নয়া ট্রাইবুনাল আইন পাস করেছে মোদি সরকার। যেখানে কেন্দ্রের তরফে বিভিন্ন ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যানের মেয়াদ কমানো হয়েছে। যা নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। সোমবার প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এলএন রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন ট্রাইবুনাল মামলার শুনানি হয়। যেখানে কেন্দ্রকে রীতিমত ভর্ৎসনার সুরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আদালতের রায়ের প্রতি কোনও সম্মান দেখানো হচ্ছে না। আপনারা (কেন্দ্র) আমাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন! ট্রাইবুনালের সদস্য হিসাবে আপনারা বলেছেন কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। কতজন নিয়োগ করা হয়েছে?’ পাশাপাশি এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে কেন্দ্রকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। জানানো হয়, এর মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয় নিয়োগ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিতে হবে। এবং এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সোমবার।

আরও পড়ুন:তালিবানের জন্য ভারতে তেলের দাম বাড়ছে, আজব মন্তব্য করে বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক

এদিনের শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম বিচারপতি জানান, ‘এই অবস্থায় আমাদের হাতে তিনটি বিকল্প রয়েছে। প্রথমত, আমাদের আইনসভার কথা মেনে নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের সব ট্রাইবুনাল বন্ধ করে দিতে হবে ও সব ক্ষমতা হাইকোর্টকে দিতে হবে। তৃতীয়ত, সেখানে সদস্যদের নিয়োগ করতে হবে। আমাদের প্রস্তাব না মানলে সরকারের বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ আনা হবে।’ যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের ট্রাইবুনাল বন্ধ করার কোন অভিপ্রায় নেই বলে জানিয়েছেন তুষার মেহেতা।

উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত বাদল অধিবেশনে সংসদে পাস করা হয় নয়া ট্রাইবুনাল আইন, যা ১৩ অগস্ট রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়েছে। এই আইনের বিভিন্ন বিধানের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এ দিন সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত।

 

Related articles

নির্বাচনী মামলা! পাল্টা হলফনামা দিতে নিজেই হাই কোর্টে অভিষেক

নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছিল তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সাংসদ তথা তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের...

পথ দেখায় বাংলা: মমতার পথেই গণেশপুজোয় অনুদান মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের!

বাংলা আজ যা ভাবে গোটা ভারত তা ভাবে কাল। এই স্বতঃসিদ্ধ বাক্যটি সম্প্রতি বারবার প্রমাণিত হয়েছে। ফের একবার...

“যেকোনও পুরুষ আমার চেয়ে হেমাকে বেশি পছন্দ করত”, ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে মন্তব্য প্রকাশের

ধর্মেন্দ্র (Dharmendra) এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের (Prakash Kaur) বিয়ে হয় ১৯৫৪ সালে। অভিনেতার বলিউডে অভিষেকের কয়েক...

নিয়োগ মামলা: ইডির তল্লাশি বিধায়কের বাড়ি, আত্মীয়ের বাড়িতে

নির্বাচন এগিয়ে এলেই বিজেপির তার তদন্তকারী সংস্থার অস্ত্রগুলোকে এগিয়ে দিতে থাকে। তদন্তকারী সংস্থা ইডি বা সিবিআই আজ পর্যন্ত...
Exit mobile version