Wednesday, May 21, 2025

বিজেপির ভয় ভালো লাগছে: পথযাত্রায় বারবার বাধায় তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের

Date:

Share post:

আগরতলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) পদযাত্রা বারবার আটকানোর চেষ্টা করছে বিপ্লব দেবের সরকার। 15 তারিখের পরে 16 তারিখের মহামিছিলেও আপত্তি জানাল পুলিশ। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট ত্রিপুরায় জোড়া ফুলের সংগঠন মজবুত হতে ভয় পেয়েছে বিজেপি। সোমবার সন্ধেয় বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে টুইট করেন অভিষেক। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন,

“বিজেপি মরণ-ভয় পেয়েছে। এবং আমার ত্রিপুরার ঢোকা আটকাতে বিপ্লব দেব তাঁর সর্বশক্তি লাগিয়ে দিয়েছেন।
চেষ্টা চালিয়ে যান কিন্তু আমায় আটকানো যাবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বে প্রতি আপনাদের হয় দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনাদের সরকারের মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে।
সত্যি কথা বলতে কী, ইয়ে ডর হামে আচ্ছা লাগা।”

জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও প্ররোচনায় পা না দিয়ে সৌজন্যের রাস্তায় হাঁটে তৃণমূল (Tmc)। বালখিল্য এবং অযৌক্তিক অজুহাতে আগরতলায় ১৫ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহামিছিলের অনুমতি দেয়নি বিপ্লব দেব (Biplab Dev) সরকারের পুলিশ। বদলে দেখানো হয় হাস্যকর যুক্তি, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেই সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুস্মিতা দেব, কুণাল ঘোষ, সুবল ভৌমিকরা। তাঁদের স্পষ্ট কথা, ত্রিপুরায় তৃণমূলের উত্থানে বিপ্লব দেব যে ভয় পেয়েছেন তা প্রমাণিত সত্য। এতদিন এই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার পুলিশি সিদ্ধান্তে তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গেল।

আরও পড়ুন-বিজ্ঞাপণকাণ্ড : বিজেপিকে “নির্লজ্জ” বলে তীব্র কটাক্ষ সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের

প্রথম সাংবাদিক বৈঠকের একঘণ্টার মধ্যেই ফের সাংবাদিক বৈঠক করেন সুস্মিতা-কুণাল-সুবলরা। তাঁরা জানিয়ে দেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সৌজন্যের রাস্তায় হাঁটবে তৃণমূল। ১৫ তারিখ মিছিলে জনসমর্থন থাকলেও, ওই দিন মিছিল না করে পরের দিন অর্থাৎ ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর দুটোই একই রুটে মিছিল করা হবে। প্রশাসনকে চিঠি দেন তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক। কিন্তু তারপর আবার পুলিশ জানায় যে, বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন মিছিলে অনুমতি দেওয়া যাবে না। এই যুক্তি আরও হাস্যকর বলে মন্তব্য তৃণমূল নেতৃত্বের। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন কোন রাজনৈতিক দলের মিছিলে কী আপত্তি থাকতে পারে তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বিপ্লব দেব সরকারের পুলিশ।

প্রথমে ১৫ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক পদযাত্রা করার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। কিন্তু পুলিশের তরফে জানানো হয়, একই দিনে একই সময়ে একই রুটে না কি অন্য একটি দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। আবার একই সঙ্গে জানানো হয়, অন্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে গোটা আগরতলা জুড়ে পদযাত্রা করার জন্য নাকি আগে থেকেই অনুমতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশের এই যুক্তিকে হাস্যকর আখ্যা দেন কুণাল।

এর পাশাপাশি ওইদিন ত্রিপুরায় রেল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিজেপির এক শাখা সংগঠন। প্রশ্ন হচ্ছে, যেখানে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার, রাজ্য বিজেপি সরকার, সেখানে কীসের দাবিতে বিজেপির শাখা সংগঠন রেল ধর্মঘট ডাক দিতে পারে? এটা আসলে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পদযাত্রায় অংশ নিতে আটকানোর ফিকির বলে মন্তব্য তৃণমূল নেতৃত্বের।

তবে ভয় দেখিয়ে, আক্রমণ করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে যে তৃণমূলকে দমিয়ে রাখা যাবে না, তা পদযাত্রা করার সিদ্ধান্তে অনড় থেকেই সোমবার বুঝিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরে টুইটে বিপ্লব দেব সরকারের সিদ্ধান্তকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি।

advt 19

 

spot_img

Related articles

বুধে উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নে জোর রাজ্যের

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরের শেষ দিনে উত্তরকন্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।...

IPL-এর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে সম্মেলনের প্রচার SFI-এর! কী বলছেন সৃজন

CPIM-এর মতো বাম ছাত্র সংগঠনগুলির সমর্থনও কি তলানিতে? না হলে কেন সর্বভারতীয় সম্মেলনে লোক টানতে আইপিএলকে কাজে লাগিয়েছে...

মামলা যাঁদের, আন্দোলনে উস্কানিও তাঁদের: বাম দ্বিচারিতার পর্দাফাঁস কুণালের

চাকরিহারা শিক্ষকদের নিয়ে দুমুখো রাজনীতি বামপন্থী নেতাদের। একদিকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন মঞ্চে গিয়ে সহানুভূতি দেখানো, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata...

১৩১ পরিবার পেল মাথার ছাদ! বন্যাদুর্গত মানুষদের জন্য ‘তিস্তাপল্লি’ উপহার মুখ্যমন্ত্রীর

তিস্তা নদীর ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছিল মেজুয়া ও লালডং চুমুকডালি গ্রামের ১৩১ জন মানুষ। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। এবার...