Tuesday, November 4, 2025

ত্রিপুরায় বিজেপিকে উৎখাতের ডাক, অভিষেকের মিছিলে বাধার প্রতিবাদে ধর্না তৃণমূলের

Date:

২৩- এর বিধানসভা নির্বাচনকে(assembly election) নজরে রেখে ত্রিপুরার(Tripura) মাটিতে ঘাঁটি শক্ত করছে ঘাসফুল শিবির। আর সেই লক্ষ্যেই ১৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরাতে পদযাত্রা করার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee)। তবে সে অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। ১৬ তারিখ পদযাত্রা করতে চাইলে সে অনুমতিও দেওয়া হয়নি। এরই প্রতিবাদে বুধবার আগরতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না দিল ত্রিপুরার ঘাসফুল শিবির। এদিনের ধর্না মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের রাজ্য সাধারন সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক সহ অন্যান্য নেতা নেত্রীরা।

ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূলের ঘাটি শক্ত হতেই হামলা ও মামলার পন্থা নিয়েছে গেরুয়া শিবির। স্থানীয় নেতা নেত্রী তো বটেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রেহাই পাননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ত্রিপুরায় ২টি সংবাদমাধ্যমের অফিসে হামলা চালায় বিজেপি। এরই প্রতিবাদে বিজেপি সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়ে পদযাত্রার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। এই পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে। বুধবার অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর সেই পদযাত্রা হওয়ার কথা থাকলেও তার অনুমতি দেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে। কারণ হিসেবে জানানো হয় এই দিন অন্য একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি রয়েছে। যদিও বাস্তবে তেমন কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি। শুধু তাই নয় ১৬ তারিখ পদযাত্রার অনুমতি চাওয়া হলেও তা বাতিল করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার আগরতলায় গান্ধী মূর্তি পাদদেশে ধর্নায় বসে তৃণমূল নেতা নেত্রীরা।

আরও পড়ুন:গুরুদ্বারে এলেই মন শান্ত হয়ে যায়, ফের শুভকামনা নিতে এলাম: মমতা

পাশাপাশি এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি সরকারকে তুলোধোনা করেন কুণাল ঘোষ। এদিন অভিষেকের পদযাত্রা আটকানোর জন্য বিজেপি সরকারের ‘কুযুক্তি’কে একহাত নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি ভয় পেয়ে অভিষেককে পদযাত্রার অনুমতি দিচ্ছে না। ১৫ সেপ্টেম্বর দেয়নি। ১৬ সেপ্টেম্বরও কুযুক্তি দেখিয়ে অনুমতি দেয়নি। আমরা ২২ সেপ্টেম্বর অনুমতির দাবি করেছি। এবারও অনুমতি না দিলে আমরা আদালতে যাব।

পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, “১৫ তারিখ ওদের যুক্তি ছিল অন্য একটি রাজনৈতিক দলকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১৬ তারিখ নাকি রেল ধর্মঘট। তাহলে আপনারাই বুঝুন এ রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি, কেন্দ্রে ক্ষমতায় বিজেপি, রেল মন্ত্রকের বিজেপির। অথচ সেই রেলের বিরুদ্ধে ধর্মঘট দেখাচ্ছে এরা। তার মানে বুঝতে হবে বিজেপির বিজেপির উপর আস্থা নেই।” এরপরই রীতিমতো হুংকার দিয়ে তিনি বলেন, “যত বার বাধা দেবেন তত বেশি করে প্রতিষ্ঠিত হবে তৃণমূল। এবং ২৩ এর নির্বাচনে বিজেপিকে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে উপড়ে ফেলা হবে।”

 

Related articles

মুখোমুখি যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালগাড়ি! ছত্তিশগড়ে বিরাট দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃত্যু

এমন দুর্ঘটনা যেন ছিল সময়ে অপেক্ষা। ভারতীয় রেলের নজিরবিহীন গাফিলতিতে ফের বড় সড় ট্রেন দুর্ঘটনা। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিলাসপুরে...

মুখ্যমন্ত্রীকে কুকথা! সমনের বিরোধিতায় বিজেপির কৌস্তভের আবেদন খারিজ হাই কোর্টে

হাই কোর্টের নির্দেশে আরও বিপাকে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত বিষয় তুলে অনলাইনে...

বাংলার একজনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে কেন্দ্রের বিজেপি-সরকার ভেঙে দেব: হুঁশিয়ারি মমতার

"বাংলার একজনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে কেন্দ্রে বিজেপির সরকার ভেঙে দেব"- মঙ্গলবার বাংলার ভোটাধিকার রক্ষার্থে আয়োজিত মহামিছিলের...

যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে বন্দি ওড়িশার শ্রমিক, মস্করা করে ভিডিও প্রকাশ!

পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে গিয়েছিলেন পরিবারের প্রতিপালনের জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনকারীদের হাতে পণবন্দি (hostage)...
Exit mobile version