ছাত্র আন্দোলনে যোগদান, বরখাস্ত অধ্যাপককে ছাঁটাইয়ের পথে বিশ্বভারতী

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Vishva Bharati University) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর(Vidyut Chakravarti) বিরুদ্ধে ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলনে নেমে ছিলেন অর্থনীতি ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য(Sudipta Bhattacharya)। যার জেরে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। তবে এবার কি সাসপেনশনের পাশাপাশি ওই অধ্যাপককে ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ? অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত মিলল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকায়। কেন অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ছাত্রদের আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তা জানতে চেয়ে শোকজ নোটিশ(show cause notice) ধরানো হয়েছে অধ্যাপককে। আগামী তিন দিনের মধ্যে এবিষয় উপযুক্ত জবাব দিতে বলা হয়েছে তাঁকে।

অর্থনীতি বিভাগের ৬ পড়ুয়াকে সম্প্রতি সাসপেন্ড করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যার জেরে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস। সাসপেনশনের পাশাপাশি ৩ পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এই অবস্থায় আন্দোলনের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পড়ুয়ারা। আদালত তাদের ক্লাসে ফেরার নির্দেশ দিলেও পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরানো হয়নি। এদিকে পড়ুয়াদের ওই আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে যোগ দিতে দেখা যায় অর্থনীতি বিভাগের বরখাস্ত অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে। তার জেরেই শোকজ করা হয়েছে ওই অধ্যাপককে। অনুমান করা হচ্ছে এই শোকজ চিঠি ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটার প্রথম ধাপ। না হলে ৯ মাস ধরে বরখাস্ত থাকা অধ্যাপককে কেন নতুন করে শোকজ করা হলো?

আরও পড়ুন:রাজনৈতিক সৌজন্য: মোদিকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা অভিষেকের

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এটা প্রতিহিংসাপরায়ণ একটি পদক্ষেপ। উনি (ভিসি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী) যাঁকে পছন্দ নয়, তাঁর বিরুদ্ধেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তবে যে অভিযোগটা উঠছে, আমি একা ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলাম, তা ঠিক নয়। ওদের সমর্থন করেছিল আমাদের সংগঠন, VBUFA। কিন্তু এটা ব্যক্তি সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকেই শোকজ করা হয়েছে। আইনি পথেই হাঁটব। আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করছি, দেখা যাক।