সকাল-বিকেল বাংলার ‘সর্বনাশ’ করে বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে টুইটের বন্যা বিজেপি নেতাদের

যে দলের নেতা থেকে মন্ত্রী বাংলা ভাষা নিয়ে ভুল ও বিকৃত কথা বলে যান, তাদের ট্যুইট উপচে পড়ল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জন্মবার্ষিকীতে। অন্যদিকে বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি ট্যুইট করে লেখেন, “জন্মবার্ষিকীতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধার্ঘ্য। তিনি ছিলেন বড়মাপের সমাজ সংস্কারক। ন্যায় ও সমানাধিকারের জন্য নিরলস লড়াই চালিয়েছিলেন। আমরা তাঁর কাছে ঋণী।”

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট শেয়ার করে রাজ্যের পরিবহন ও আবাসন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম লিখেছেন, “মহান সমাজ সংস্কারক ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকীতে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।”

অন্যদিকে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন উপলক্ষে টুইট করে শ্রদ্ধা জানান দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলায় টুইট করে লিখেছেন, ‘বঙ্গ নবজাগরণের অগ্রদূত বিদ্যাসাগর তাঁর প্রগতিশীল চিন্তাধারা দিয়ে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের সমন্বয়ে, কুসংস্কার মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। বর্ণবৈষম্য বিরোধী বিদ্যাসাগরের হাতেই বাংলা ভাষা হয়েছে সজীব প্রাণবন্ত। এই মহামানবের জন্ম বার্ষিকীতে জানাই প্রণাম।’

আরও পড়ুন: নয়া টুইস্ট: বৈশাখীকে বেহালার বাড়ি বেচলেন শোভন, দখল ছাড়তে নারাজ রত্না

অন্যদিকে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ টুইট করে লেখেন, “ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে আমি বাংলার নবজাগরণ, শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, নারীশিক্ষা এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎকে শ্রদ্ধা জানাই।”

এদিকে বিদ্যাসাগরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে টুইট করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী, নীতিন গড়করি। অন্যদিকে শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, নবজাগরণের প্রাণপুরুষ, বর্ণ পরিচয়ের স্রষ্টা হিসেবে পরিচিত বিদ্যাসাগরকে জন্মদিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এই দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চিঠি লেখা হয়েছে বাংলা পক্ষর তরফে। তাতে সই রয়েছে বহু বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কবি, সঙ্গীতশিল্পীদের।