পুজোর থিকথিকে ভিড় চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের

0
1

উৎসবের মরসুমে ফের করোনার তাণ্ডবের আশঙ্কা। উৎসবে মাতোয়ারা গোটা দেশ। চতুর্থী থেকেই পুজো মণ্ডপে মানুষের ঢল নেমেছে। দূরত্ববিধিকে শিকেয় তুলে মণ্ডপে ঠাকুর দেখার পাশাপাশি রেস্তোরাঁয় খাবার খাওয়ায় মেতেছে বঙ্গবাসী। কিন্তু করোনা কাঁটা।তাই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় প্রহর গুণছে মানুষ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও। কিন্তু পুজোর আবহে সাধারণ মানুষের মধ্যে কতটুকু করোনা-বিধি মেনে চলার সদিচ্ছা রয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যদিও পঞ্চমীতে রাজ্যে সামান্য কমেছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা। চতুর্থীর তুলনায় রাজ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমায় স্বস্তিতে প্রশাসন। তবে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা নিয়ে চিন্তা অব্যাহত থাকছেই।

আরও পড়ুন:পুজোর থিমেও জাঁকিয়ে বসেছে লকডাউন

রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেতিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬০ জন। এই সময়ের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। যদিও নতুন করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৩৪ জন। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে পুজোর ভিড় থেকে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই মণ্ডপের ভিড় দেখে কপালে ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। গত বছর পুজোর পর আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছিল। তবু গতবার থেকে শিক্ষা নেয়নি আমজনতা। সেপ্টেম্বরের শুরুর সঙ্গে অক্টোবরের শুরুর তুলনা টানলে দেখা যাচ্ছে, সারা বাংলার পজিটিভিটি রেট ১.৭৮ থেকে বেড়ে ১.৭৯ শতাংশ হয়েছে ঠিকই। কিন্তু জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা মিলেছে, ৩ শতাংশের বেশি পজিটিভিটি রেট, এমন জেলার সংখ্যা এক থেকে বেড়ে চার হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুজোর কেনাকাটার ভিড়ই শুধু করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী নয়। চতুর্থী, পঞ্চমীতেই দেখা গিয়েছে ভিড় উপচে পড়ছে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এই ধারা চলতে থাকলে কালীপুজোর আগেই পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। অনেকেই এ প্রসঙ্গে কেরলের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। ‘ওনাম’ উৎসবে গা ভাসিয়ে ভয়ানক পরিস্থিতির মুখে পড়েছে কেরল। সেই পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গেরও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞদের আরও চিন্তার কারণ, গতবছরের তুলনায় এ বার পুজোয় বিধিনিষেধের কড়াকড়ি অনেকটাই কম।