Saturday, August 23, 2025

পাহাড়ে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে স্টিয়ারিং কমিটি গঠন: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

Date:

পাহাড়ে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে এবার স্টিয়ারিং কমিটি তৈরি করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। এবার পাহাড়েও শিল্পায়ন হবে। হবে জিটিএ-র ভোট। কার্শিয়ঙেয়ের প্রশাসনিক বৈঠক জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার, প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বলেন, পাহাড়ে বিভাজনের রাজনীতি কোনওভাবেই বরদাস্ত করব না। গৌতম দেব (Goutam Dev), অনীক থাপা (Anik Thapa), রোশন গিরিকে (Roshan Giri) রেখে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, ডাব্লিউবিআইডিসির রাজেশ সিনহা, বন দফতরের সচিব, জিটিএ-র (Gta) প্রতিনিধি এবং উত্তরবঙ্গের চেম্বার অফ কমার্সকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকেই একটি স্টিয়ারিং কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন। কোন পথে কীভাবে সবদিক বজায় রেখে পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান করা যায়, তার একটি রূপরেখা তৈরি করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁর কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কালীপুজো, ছটপুজো মিটে গেলে তিনি আবার পাহাড়ে আসবেন।

পাহাড় ভাগের গেরুয়া চক্রান্তকে এক হাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল ভোটের সময় পাহাড়ে আসে, আর দার্জিলিংকে আলাদা রাজ্য করে দেব বলে ভোট নিয়ে চলে যায়। এদের লক্ষ্য পাহাড়ের মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা। এই বহিরাগতদের জন্যই পাহাড়ে অশান্তি হয়। সব ধ্বংস হয়ে যায়। আবার নতুন করে সব শুরু করতে হয়। বারবার এ জিনিস চলতে পারে না। পাহাড়ের স্থায়ী সমাধানই একমাত্র পথ। এবার সেটাই লক্ষ্য।

বৈঠকে উপস্থিত অনীক থাপা, রোশন গিরি সহ পাহাড়ের প্রতিনিধিদের বলেন, “তোমরা ভূমিপুত্র। তোমরাই বলো কোন পথে পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান হতে পারে?” অনীক থাপা ও রোশন গিরি জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে জিটিএ ও পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি। এছাড়াও তাঁরা পাহাড়ের জন্য আঞ্চলিক এসএসসি তৈরির কথা বলেন, যাতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগের পরীক্ষা সহ এই সংক্রান্ত বাকি কাজ করতে সুবিধে হয়। দুজনেই জানান তাঁরা জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জিটিএ নির্বাচন হবে। তবে এখন ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলে জিটিএ নির্বাচন করা যেতে পারে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন করেন এবার উন্নয়নের রাজনীতি হবে। “আমরা অশান্তির পক্ষে নই শান্তির পক্ষে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়ং ও মিরিকের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার যে প্রশাসনিক সাহায্য ও আর্থিক বরাদ্দ করেছে, সেই কাজ চলছে।

আরও পড়ুন- সংক্রমণের লাগাম টানতে রাজপুর-সোনারপুরে তিনদিন কার্যত ‘লকডাউন’

 

 

Related articles

বাংলা দখলে প্রধানমন্ত্রীর ‘হতাশার আর্তনাদ’! ভিডিও দেখিয়ে তোপ তৃণমূলের

বাংলার মানুষকে দিনের পর দিন বঞ্চিত রেখে বাঙালির কাছেই ভোট ভিক্ষা! বাঙালিকে একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা করে...

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...
Exit mobile version