উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জয়গান। অব্যাহত বিজেপির ভরাডুবির। বিধানসভা ভোটের পর সর্বসাকুল্যে আসন সংখ্যা ছিল ছিল ৭৭। হল কত? এরপর স্রোতের অনুকূলে হেঁটে রাজ্যে বিজেপি বিধায়কদের একের পর এক দলত্যাগ। উপনির্বাচনে হার হাতে থাকা দিনহাটা-শান্তিপুরেও। এই মুহূর্তে বিধায়ক সংখ্যা কমতে কমতে ৭০। রাজ্য থেকে দু’জন সাংসদ রাজ্যসভায় পাঠাতে গেলে দরকার ৬৯ বিধায়কের সমর্থন। বিজেপির যা অবস্থা, তাতে সেগুড়ে বলি!

এদিকে, তৃণমূলে যোগদানের পর দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সাংসদ পদ থেকে সদ্য ইস্তফা দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়। উপনির্বাচনে বিজেপি গো-হারার পর ফের পুরোনো দলের বিরুদ্ধে সরব বাবুল।

টুইটে বাবুল লিখেছেন, ”উপনির্বাচনে দারুণ জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে অভিনন্দন। যা প্রাপ্য সেটাই পেয়েছে বিজেপি। দেখব দলের অনুগত কর্মীদের সঙ্গে অভদ্র ব্যবহার, পিছন থেকে ছুরি মারা জনতা বিরোধী দলের অযোগ্য নেতারা ২০২৪ সালে কত আসন জিততে পারে।”

এরপরই বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে বাবুল লিখেছেন, ”যে বিজেপি নিজের নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে, হেনস্থা, পিছন থেকে ছুরি মারছে তারা ভারতের নাগরিকদের জন্য কতটা ভালো করতে পারে। দলের জন্য ঘাম ও রক্ত দিয়েছে কর্মীরা। দেখে নিন বিজেপির কতজন প্রবীণ নেতা এখন দলের তীব্র বিরোধী।”
