Thursday, August 28, 2025

রাজনীতিতে আমায় তুই বলার কেউ রইল না: বন্ধু বিচ্ছেদে শোকাহত শোভনদেব

Date:

দীপাবলির আলোর রোশনাইয়ের মাঝেই নিভে গেছে বঙ্গ রাজনীতির এক বর্ণনায় রাজনৈতিক চরিত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায়(Subrata Mukherjee)। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত শাসক-বিরোধী সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। বন্ধু বিচ্ছেদের এমন এক দিনে বন্ধুর সঙ্গে কাটানো অতীতের স্মৃতিতে ভেসে গেলেন তৃণমূল(TMC) নেতা তথা মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়(Sobhandeb Chatterjee)। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, “রাজনীতিতে আমাকে তুই বলার আর কেউ রইল না। সুব্রত আর আমি কত বছরের বন্ধু, সেই হিসেব কষতে বসলে সব অঙ্ক নিজেরই গোলমাল হয়ে যাবে। শুধু এটুকু বলছি, সুব্রত যখন নেতা নয়, মন্ত্রী নয়, আমিও রাজনীতিতে নবীন। তখন থেকে সুব্রতর সঙ্গে আমার সম্পর্ক।”

রাজনীতির পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনেও মজার মানুষ ছিলেন সুব্রত। সে কথা স্মরণ করে শোভন দেব বলেন, “সুব্রত তখন সিদ্ধার্থশংকর রায়ের সরকারের মন্ত্রী। এক দিন সকালে ফোন করে বলল, ‘‘আয়, জরুরি কথা আছে।’’ ওর বাড়ি পৌঁছলাম। বলল, ‘‘চল, পুরী ঘুরে আসি।’’ আমি বললাম, ‘‘পুরী যাবি কী রে? জামাকাপড় তো কিছুই আনিনি।’’ ও বলল, ‘‘আরে, জামাকাপড় আনলে আর যাওয়ার মজা কী। এমনিই চল।’’ চলে গেলাম। হইহই করে দু’দিন কাটিয়ে ফেরা।” পুরীর পাশাপাশি জলপাইগুড়িতে সুব্রতর সঙ্গে এক মজার ঘটনা তুলে ধরে শোভন দেব বলেন, “এ সবের অনেক আগে আর এক বার জলপাইগুড়িতে ও আর আমি দলের মিটিং করতে গেছি। সুব্রত বলল, ‘‘শোন, দার্জিলিংয়ে মোহনবাগানের খেলা আছে। এখানে তুই তিন মিনিট বলবি। আমি দশ মিনিট। তারপর সোজা দার্জিলিংয়ে গিয়ে খেলা দেখব। সময়টা খেয়াল রাখিস।’’ হু হু ঠান্ডায় ধুতি-পাঞ্জাবি পরে আমরা দার্জিলিংয়ে পৌঁছলাম। সেখানে সোয়েটার কিনে গায়ে দিয়ে খেলা দেখে তবে শান্তি। মোহনবাগান না জিতলে খুব মুষড়ে পড়ত সুব্রত। আর জিতলে ওকে পায় কে!”

আরও পড়ুন:রবীন্দ্র সদনে সুব্রতকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন রাজনৈতিক নেতা-অভিনেত্রী থেকে সাধারণ মানুষ

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “সুব্রত যখন কলকাতার মেয়র, তখন আমি পুরসভার ইউনিয়ন নেতা। বার বার দাবিদাওয়া নিয়ে ওর কাছে গিয়েছি। ঝগড়া হয়েছে। পরস্পরের বিরুদ্ধে দু’জনেই প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছি। কিন্তু সে সব তো রাজনীতির কথা। কিন্তু যে সুব্রত প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় আমার বন্ধু, তাকে অন্য কোনও মাপকাঠিতেই আমি বিচার করতে চাই না। আমি ওর থেকে সামান্য বড়। বন্ধুবিচ্ছেদ করে ও আগে চলে গেল।”

 

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version