Sunday, August 24, 2025

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীকে মিস্টি তৈরি হয়েছে, এটা দেখতে অভ্যস্ত আমরা। তবে বাতাসে শীতের আমেজ পড়তেই বালাপোষ, লেপে এবার জায়গা করে নিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক চিহ্ন। এমন দৃশ্য নিঃসন্দেহে এই প্রথম।
শীতের শুরুতে রামপুরহাট পুরসভার মাঠে যে হারে শাসক দলের প্রতীক চিহ্ন ছাপা বালাপোষ , লেপ তৈরি হচ্ছে তা দেখে আপনিও অবাক হবেন বৈকি। পুরো বিষয়টি অবশ্য জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন । তাদের বক্তব্য, দলের জনপ্রিয়তা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে দুয়ার টপকে দলীয় প্রতীক এখন ঘরে প্রবেশ করেছে।
রামপুরহাট পুরসভার মাঠে দেখা একদল ধুনুরি অর্ডার অনুযায়ী শীতের লেপ ও বালাপোষ তৈরি করে চলেছেন। শুধুমাত্র ব্যতিক্রম এই যে অন্যান্য বার মূলত লাল রঙের কাপড় দিয়ে কাজ করতে হত, এবার সেখানে জ্বলজ্বল করছে জোড়া ফুল।
অবশ্য এতে বেজায় খুশি ধুনুরিরা। তারা বলছেন, প্রথম এক মহিলা এমন কাপড় দিয়ে তৈরির বরাত দিয়েছিলেন। এখন চাহিদা তুঙ্গে। অনেকদিন পর ব্যবসা ভালই জমে গিয়েছে।

বালাপোষের ইতিহাস বলছে পুরনো সিন্থেটিক কাপড়, হোসিয়ারি কারখানার বাতিল কাপড় যন্ত্রের সাহায্যে পিষে তৈরি ‘তুলো’ দিয়ে তৈরি হয় এই বালাপোষ।
এক সময় মুর্শিদাবাদের একেবারে নিজস্ব এই শিল্পের নাম ছিল সর্বত্র। লম্বা আঁশের কার্পাস তুলোকে বীজ ছাড়িয়ে লাল রঙ্গে চুবিয়ে শুকিয়ে ভরা হতো মোলায়েম সিল্ক এবং মখমলের মাঝে। সুগন্ধের জন্যে দেওয়া হত আতর। বালাপোষের বিশেষত্ব হল মাঝে কোনও সেলাই থাকে না। চার পাশের সেলাই ধরে রাখে তুলোকে।
একটা সময় শীতে কম্বল ও লেপ মুড়ি দিয়ে, পশমের চাদর গায়ে দিয়েও শীত যাচ্ছিল না বাংলা, বিহার, ওডিশা সহ অভিবক্ত বাংলার। সেসময় নবাব ছিলেন মুর্শিদকুলি খাঁ। তার জামাই ছিলেন সুজাউদ্দিন, যিনি পরবর্তীকালে বাংলার নবাব হয়েছিলেন। তিনিই এর উপায় বের করেন।
অনেক ভাবনাচিন্তার পর সুজাউদ্দিনের নির্দেশে খলিফা রমজান শেখ তৈরি করেন তুলোর হালকা আবরণ। কার্পাস তুলোকে ঢেকে দেওয়া হয় সুন্দর সিল্ক কাপড়ে, নাম দেওয়া হয় বালাপোষ।  সেই বালাপোষেই এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version