Sunday, August 24, 2025

প্রয়াত ময়দানের বাজপাখি। শুক্রবার সকালে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। পাঁচ ও ছয়ের দশকের দেশের তারকা গোলরক্ষক সনৎ শেঠ (৯৩) আজ আর নেই। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা দুর্গপ্রহরীদের মধ্যে তিনি একজন।

শুক্রবার পানিহাটির বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অজাতশত্রু এই গোলরক্ষক। চারের দশকের শেষ দিকে ইস্টার্ন রেলে খেলে তিনি পরিচিতি পান। এরপর সই করেছিলেন এরিয়ানে। ১৯৫৪ সালে ম্যানিলা এশিয়ান গেমসে তিনি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এই ক্লাব থেকেই। তাঁর দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্য ১৯৫৫ এবং ১৯৫৬ সালে আইএফএ শিল্ডে রার্নাস হয়েছিল এরিয়ান।

অ্যাক্রোব্যাটিক ফিটনেস এবং ক্ষিপ্রতার সঙ্গে দু’টি পোস্ট কভার করার জন্য তাঁকে ‘ময়দানের বাজপাখি’ বলে ডাকা হতো। ১৯৫৭ সালে ইস্ট বেঙ্গলে যোগ দেন সনৎ শেঠ। দু’বছর লাল-হলুদ জার্সি গায়ে খেলার পর ১৯৫৯ সালে তিনি মোহন বাগানে সই করেন। টানা আট বছর তিনি সবুজ-মেরুন জার্সি পরেছেন। ১৯৬৮ সালে ইস্ট বেঙ্গলে ফিরে তিনি অবসর নেন।

১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিকসের দল থেকে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েন সনৎ শেঠ। এই আক্ষেপ তাঁর ছিল। কিংবদন্তি গোলরক্ষকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ  ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেছেন, ‘শুক্রবার ভারতীয় ফুটবল হারাল এক কৃতী সন্তানকে।’

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে সনৎ শেঠকে ‘বাংলার গৌরব’ সম্মানে ভূষিত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে আসে বাংলার ফুটবলমহলে।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version