Wednesday, November 12, 2025

ফের টুইট করে রাজ্যকে বিঁধলেন রাজ্যপাল। বুধবার রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড় অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে জিটিএ তে অডিট হচ্ছে না। ফলে সেখানে দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে, জনগণের টাকা নষ্ট হচ্ছে। ৩০ তারিখের মধ্যে তাকে জিটিএ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেওয়ার জন্য জিটিএ কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

রাজ্যপালের এই টুইট প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাজ্যপাল প্রতিদিন যে ধরণের খেলা খেলছেন তাতে মনে হচ্ছে যারা তাকে চাকরিটা দিয়ে পাঠিয়েছেন তিনি যদি প্রতিদিন খবরে ভেসেনা থাকতে পারেন তাহলে তাকে তাদের কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে।
তিনি জিটিএ নিয়ে বলছেন কিন্তু রাজ্য সরকার জানে জিটিএ কিভাবে চালাতে হয় । রাজ্য সরকার পাহাড়টাকে ধাপে ধাপে শান্ত করেছে। রাজ্যপালের কপাল ভালো তিনি এই জামানায় এসেছেন । তাই পাহাড়ে বসে বড় বড় কথা বলছেন। বাম জমানায় এলে পাহাড়ে উঠতে পারতেন না।

পাহাড়ে অর্থনৈতিক ক্রিয়া-কলাপ শুরু হয়েছে , সুস্থ রাজনৈতিক ক্রিয়া-কলাপ শুরু হয়েছে। সবকিছু ধাপে ধাপে একটা অর্ডারে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে গিয়ে এইটা ঠিক ওটা ভুল বলে রাজ্যপাল একের পর এক মন্তব্য করে চলেছেন ।
যখন পাহাড় অশান্ত ছিল তখন তো তাকে শান্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড় কে শান্ত করেছেন, পাহাড় ও ডুয়ার্সের অর্থনীতিকে আবার সচল করেছেন। সুতরাং আপনার এই বিষয়ে জ্ঞান দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই । আপনি আপনার এক্তিয়ারের মধ্যে চলুন। যারা পাহাড় কে শান্ত করেছেন তারা জানেন কিভাবে ধাপে ধাপে সেটা করতে হয়।
কুণাল অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কুৎসা করছেন এবং প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন । বরং তৃণমূল মুখপাত্রের কটাক্ষ, রাজ্যপালের কোনও কাজ নেই। তাই ‘নেই কাজ তো খই ভাজ’। ওনার সঙ্গে বাংলার মানুষের কোনও যোগ নেই, ওনাকে কেউ আমন্ত্রণ করেন না ,কেউ দেখা করতে আসেন না । তাই উনি তলবি নোটিশ পাঠিয়ে বাংলার মানুষকে ডেকে এনে চা খাওয়ান।

এরই পাশাপাশি এদিন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন কুণাল । শুভেন্দুর মন্তব্য ছিল,পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ হতে দেরি নেই। এ প্রসঙ্গে কুণালের কটাক্ষ, এই কথার অর্থ কী? তিনি বলেন, এরাই দুদিন আগে বলতেন পশ্চিমবঙ্গে নাকি দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। আবার ইউনেস্কো যখন দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিল, তখন তার কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য এরাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন । শুভেন্দুর নাম না করে তাকে পেগাসাস অধিকারী বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্রের মন্তব্য বিজেপিতে কালকা যোগী , এরা তৎকাল বিজেপি। একটু খেয়াল করে দেখুন , যখন অন্য দলে ছিলেন তখন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তাদের বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানে গেছেন । সেখানকার তাদের আচার মেনে তাদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন । আর এখন তিনি সিবিআই , ইডির হাত থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়ে ভিড়েছেন। আর প্রলাপ বকছেন। এখন তাকে বিজেপিতে গিয়ে তৎকাল হিন্দু ও উগ্র হিন্দু সাজতে হচ্ছে। বাংলাদেশ বাংলাদেশের কাছে আছে, পশ্চিমবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গের মতো।
আগে বরং পেগাসাস অধিকারী বলুন, অখন্ড বাংলা নিয়ে তাদের কী চিন্তাভাবনা? বিজেপি সাংসদ, বিজেপি বিধায়করা বলছেন উত্তরবঙ্গকে আলাদা করতে হবে। এটা ইস্তেহারে তাদের ছিল না। ভোটের পর এসব শুরু করেছেন। পাহাড়কে আলাদা করতে হবে, ডুয়ার্স কে আলাদা করতে হবে। আগে তৎকাল পেগাসাস অধিকারী বলুন, অখন্ড বাংলাকে তারা কতটা সমর্থন করেন তারপর প্রলাপ বকবেন, এই ধরণের প্ররোচনামূলক কথাবার্তা বলতে আসবেন।

Related articles

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...

সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে চালু হচ্ছে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি নবান্নের 

সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে এবার থেকে রাজ্যের...
Exit mobile version