কোভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের মারাত্মক তরঙ্গে ভারতে ২০২১এর এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে ২ লক্ষ ৪০ হাজার প্রাণহানি হয়েছে। যা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল।
বর্তমানে ওমিক্রন সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার প্রেক্ষিতে ভারতের জন্য রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, “অদূর ভবিষ্যতে একই ঘটনা ঘটতে পারে।”
দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মত, এর ফলে নিম্নমুখী ঝুঁকির সম্ভাবনাও রয়েছে। এর সমাধান প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘ বলেছে, “ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য এবং বৈষম্য মোকাবিলায় কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দক্ষিণ এশিয়া বড় ধরনের নেতিবাচক ঝুঁকির সম্মুখীন যা ২০৩০ এ বুমেরাং হয়ে ফিরতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,”আপেক্ষিকভাবে টিকাকরণে ধীর অগ্রগতি নতুন ভ্যারিয়েন্ট এবং বারবার প্রাদুর্ভাবের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে । আর্থিক সীমাবদ্ধতা এবং অপর্যাপ্ত বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন সরবরাহ কিছু দেশে মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারকে পেছনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।”
বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম দিকে, বাংলাদেশ, নেপাল এবং পাকিস্তানে তাদের জনসংখ্যার ২৬ শতাংশেরও কম মানুষকে সম্পূর্ণ টিকা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ভুটান, মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কায় সম্পূর্ণ টিকা প্রাপ্ত জনসংখ্যা ৬৪ শতাংশের উপরে।