ডায়মন্ড হারবারে পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের নিচে, ফেসবুকে উচ্ছ্বসিত অভিষেক

ডায়মন্ড হারবারই এখন কোভিড নিয়ন্ত্রণে মডেল

তাঁর নির্দেশের একদিনের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে ও পঞ্চায়েতে চালু হয়েছিল মেগা কন্ট্রোল রুম , শুরু হয়েছিল ডক্টরস অন হুইল। সকাল থেকে চেকিং ও ডবল মাস্ক অভিযান, হোম আইসোলেশন। যার ফল মিলেছিল হাতে হাতেই।এক ধাক্কায় ডায়মন্ড হারবারের পজিটিভিটি রেট কমে গিয়েছিল ৬ শতাংশ।
গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। ডায়মন্ড হারবারের পজিটিভিটি রেট কিন্তু কমছেই। রবিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়মন্ড হারবারের পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের নিচে। গোটা রাজ্যের মধ্যে যা বিরল। তাই ডায়মন্ড হারবারই এখন কোভিড নিয়ন্ত্রণে মডেল।


সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ নিয়ে ফের একবার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুক বার্তায় ডায়মন্ড হারবারের জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘‘করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে প্রতিনিয়ত সমর্থন এবং সহযোগিতার জন্য আমি মন থেকে ডায়মন্ড হারবারের মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।গঙ্গাসাগর এবং কলকাতার কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সংক্রমণের হার তিন শতাংশের নীচে রয়েছে।’’

সংসদীয় এলাকায় একদিনে ৩০ হাজার কোভিড টেস্টের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। কিন্তু অভিষেকের নেতৃত্বে ডায়মন্ড হারবার সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। টার্গেট ৩০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে প্রায় দ্বিগুনের ঘরে কড়া নেড়ে ৫৩ হাজার ২০৩ তে গিয়ে শেষ হয়েছিল।
অভিষেক আগেই বলেছেন, রাজ্যের যে কোনও সংসদীয় এলাকায় ৭ দিনের মধ্যে কোভিড পজিটিভের মাত্রা কমিয়ে আনার প্রশ্নে এখন ডায়মন্ড হারবার শীর্ষে। আমাদের প্রাথমিক চেষ্টা থাকবে ২% শতাংশের নিচে সংক্রমণ নামিয়ে আনা। তারপর লড়াই চলবে। সেই দিকেই এগোচ্ছে ডায়মন্ড হারবার।

কয়েক দিন আগেই ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে অভিষেক মন্তব্য করেন, বর্তমান কোভিড আবহে যে কোনও ধরনের ভোটই পিছিয়ে দেওয়া উচিত। তবে এটি তাঁর ‘ব্যক্তিগত মত’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার হাইকোর্টের অনুরোধ মেনে পুরভোট তিন সপ্তাহ পিছনোর জন্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে ‘কুর্নিশ’ জানান অভিষেক। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘রাজ্যে নির্বাচন তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আমি মাননীয় হাইকোর্ট এবং নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই। বাংলায় করোনা সংক্রমণের হার আগামী তিন সপ্তাহে যাতে তিন শতাংশেরও কম হয় তা নিশ্চিত করতে আমদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। এই সময়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শক্তিশালী করার কাজে লাগানো উচিত।’’

এদিকে, এদিন সন্ধেয় ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ডায়মন্ড হারবার সংসদীয় এলাকায় সোমবার, ১৫,৫১৬ জনের করোনার আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে পজিটিভ ৯২ জন। শতাংশের হিসেবে দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত ১২ জানুয়ারি বিবেকানন্দের জন্মদিনেও করোনা পরীক্ষার করা হয়েছিল ৫২ হাজারের বেশি মানুষের। এছাড়া তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত করোনা বিধি ভাঙার জন্য ১০,৮৫৫ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৩, ৯৪,৩৫০ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। দশ লক্ষের বেশি মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে এই সংসদীয় এলাকায় ২২৪টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। আক্রান্তদের বাড়িতে জায়গা না থাকলে সেফহোম বা আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হচ্ছে।

Previous articleBcci: বোর্ডের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন কোহলি
Next articleবিজেপি শিবিরের আন্দরেই বাড়ছে ক্ষোভ, শহর জুড়ে অমিতাভ চক্রবর্তী বিরোধী পোস্টার