Wednesday, August 13, 2025

বাবাকে সম্মান দেয়নি কংগ্রেস, বিজেপির উগ্র হিন্দুত্বকেও নিন্দা নেতাজি কন্যার

Date:

সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subash Chandra Bose) ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীতে কংগ্রেসকে (Congress) কার্যত তুলোধোনা করলেন কন্যা অনিতা বসু পাফ (Anita Bose Pfaff)। নেতাজি কন্যার অভিযোগ, “বাবাকে যোগ্য সম্মান দেয়নি কংগ্রেস”। একইসঙ্গে নাম না করে বিজেপির (BJP) কট্টর হিন্দুত্ববাদেরও কড়া সমালোচনা করেন অনিতা।

নেতাজি কন্যা বলেন, “কংগ্রেসের একটা অংশ নেতাজির সঙ্গে অনেক অন্যায় করেছে। নেতাজিকে ভুল বুঝেছে।
আমার বাবা যেহেতু বিদ্রোহী প্রকৃতির ছিলেন, তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করা গান্ধীজির পক্ষে কঠিন হত, তাই তিনি নেহরুর প্রতি ঝুঁকে ছিলেন। গান্ধীজি নেহরুকে সমর্থন করেছিলেন। কারণ, স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজি আর শান্তির পথে চলতে চাননি। তিনি অধিকার বুঝে নিতে চেয়েছিলেন সশস্ত্র বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে।”

অন্যদিকে, ইন্ডিয়া গেটে সুভাষচন্দ্র বসুর হলোগ্রাম মূর্তি স্থাপন করার বিষয়েও মুখ খোলেন নেতাজি কন্যা। তাঁর প্রতিক্রিয়া, এই মূর্তি আরও আগে স্থাপন হওয়া উচিত ছিল। এর দেরিতে কেন্দ্রীয় সরকার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিস্মিত তিনি। তবে শেষপর্যন্ত মূর্তি স্থাপন হওয়ার ঘোষণায় কিছুটা খুশি অনিতা।

নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের কমিটির কাজ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁর কন্যা অনিতা বসু পাফ।
তিনি বলেছেন, “কমিটি কোনও কাজ করেনি। আমাকেও ওই কমিটিতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, গত এক বছরে কোনও বৈঠক করেনি এই কমিটি, আমিও ডাক পাইনি। আসলে নেতাজির আবেগকে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের মুখে এই কমিটির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। নির্বাচনের ময়দানে নেতাজির নাম ব্যবহার করে মাইলেজ পাওয়ার জন্যই এমন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।”

এরপরই ভারতবর্ষের বুকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে নাম না করে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে নিশানা করেন নেতাজি কন্যা। তাঁর কথায়, ”দেশভাগের পরে ধর্মের নামে হানাহানির যেরকম ছবি দেখেছি, তাতে বলতে পারি, হিন্দু হয়েও বাবা কখনোই এই জাতীয় রাজনীতি মেনে নিতেন না।
তিনি কখনই ধর্মের নামে কাউকে মেরে ফেলা বা আঘাত করাকে সমর্থন করতেন না। আর এখন সেটাই হচ্ছে। যা কাম্য নয়। নেতাজির ধর্মের নামে বিভাজনের ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেননি।

এদেশে রাজনীতির স্বার্থে ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। নেতাজির ত্যাগ, সংগ্রামকে একটা মহল থেকে ছোট করে দেখা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে অনিতা বলেন, “এটা ঠিক, আমার বাবা একবার নয় দু’বার হিটলারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর এক এবং একমাত্র উদ্দেশ্যে ছিল ভারতের স্বাধীনতা।দেশকে স্বাধীন করার জন্য তিনি বহির্বিশ্বের সাহায্য চাইছিলেন। এর মাধ্যমেই ব্রিটিশকে উৎখাত করতে চেয়েছিলেন। হিটলারের সঙ্গে দেখা করা মানেই যে তিনি ফ্যাসিজমকে সমর্থন করেছিলেন তা কিন্তু নয়।”

আরও পড়ুন:Taslima: রেডিমেড শিশু! সারোগেসি নিয়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে খোঁচা তসলিমার। 

Related articles

দীর্ঘ অসুস্থতার পরে চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বাসন্তী, শোকস্তব্ধ টলিপাড়া

দীর্ঘ অসুস্থতার পরে চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায় (Basanti Chatterjee)। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স...

ডুরান্ড কোয়ার্টার ফাইনালেই মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান

প্রথমে শোনা গেলেও শেষপর্যন্ত ডুরান্ড (Durand Cup) কোয়ার্টার ফাইনালেই কলকাতা ডার্বি (Derby)। প্রথমে শোনা গিয়েছিল যে কোয়ার্টার ফাইনালে...

বিজেপি নেতা মিঠুনের সম্মেলনে বাজল “মুঝকো পিনা হ্যায়”, তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের 

এটাই বিজেপির সংস্কৃতি! কোনভাবেই বাঙালির কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মেলেনা। আর সেই তালেই নাচছেন বিজেপি নেতা অভিনেতা মিঠুন...

গাজায় সাংবাদিক হত্যার নিন্দা: ইজরায়েলের রোষের মুখে প্রিয়াঙ্কা

ইজরায়েলে অনৈতিক সাংবাদিক হত্যা। গাজায় সাংবাদিকদের ক্যাম্পে হামলা ইজরেলীয় বাহিনীর। মৃত্যু আল জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল শরিফের। ঘটনায়...
Exit mobile version