Sunday, August 24, 2025

ফের মানবিক মুখ পুলিশের, বৃষ্টি মাথায় নিয়েই অন্তঃসত্ত্বাকে রক্ত দিলেন এসপি

Date:

ফের মানবিক মুখ পুলিশের। রাতের বেলা অস্ত্রোপচারের টেবিলে রক্তের প্রয়োজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার। রাতের খাবার শেষ না করেই অন্তঃসত্ত্বাকে বাঁচাতে দৌড়লেন এসপি।নিজেই রক্ত দিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে দার্জিলিং-এর স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে।
ঘটনার সূত্রপাত, গত রবিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ। ওইদিন স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা।ওই মহিলার প্রসবের জন্য অস্ত্রোপচার চলছিল।কিন্তু প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। তৎক্ষণাৎ বি-নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন হয়।
গোটা দার্জিলিং-জুড়ে বি-নেগেটিভ গ্রুপের কোনও ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায় নি। এমনকি ব্লাড ব্যাঙ্কেও ওই গ্রুপের রক্তের জোগান ছিল না।হাসপাতালের সুপার জানতে পারেন দার্জিলিং-এর পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকরের রক্ত ওই একই গ্রুপের। তখনই হাসপাতালের তরফে যোগাযোগ করা হয়। জানা গিয়েছে, তখন ডিনার করছিলেন পুলিশ সুপার। ফোন পেয়েই দ্রুত ওই হাসপাতালে যান। তখন বাইরে মুষলধারার বৃষ্টি। সব উপেক্ষা করেই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে রক্ত দেন পুলিশ সুপার। তাঁর এই পদক্ষেপে খুশি চিকিৎসক ও অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পরিবার।
রক্তদানের বিষয়ে পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকর জানিয়েছেন, ‘আমি রক্তের মূল্য জানি। এই বি-নেগেটিভ রক্ত খুব বিরল। এই গ্রুপের রক্তের জোগান কম। তাই আমি নিজেই রক্ত দিতে এসেছি। এটা আমার কর্তব্য এবং এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।’ জেলার পুলিশ প্রধানের এমন আচরণের প্রশংসা সব মহলে।
চিকিৎসক দাওয়া চিরিং ভুটিয়া বলেন, “যেহেতু আমাদের জরুরিভিত্তিতে সিজার করতে বলা হয়েছিল, তাই নিয়ম অনুযায়ী রক্তের ব্যবস্থা রাখতে হত। আমরা জানতাম রক্তের এই গ্রুপ বিরল এবং শিলিগুড়ি যেতে হলে ৩ ঘণ্টা সময় লাগবে। আমরা জানতাম যে এসপির রক্ত একই গ্রুপের।”

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version