সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, সাংবাদিকদের উপর নির্যাতনের নিরিখে শীর্ষ স্থানে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ!

সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ এবং সাংবাদিকদের উপর নির্যাতনের নিরিখে শীর্ষ স্থানে বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। ‘কমিটি এগেনস্ট অ্যাসল্ট অন জার্নালিস্ট'(Committee Against Assault on Journalist {CAAJ}) এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার যে চিত্র প্রকাশ পেয়েছে, তা রীতিমত ভয়ঙ্কর। ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে মোট à§§à§©à§® টি সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা সামনে এসেছে। যদিও সংখ্যাটা এর থেকে অনেক বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে। যার মধ্যে ১২ জন সাংবাদিকের হত্যার ঘটনাও রয়েছে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (CM Yogi Adityanath) ভোটারদের উদ্দেশে বলেছিলেন, বিজেপিকে ভোট না দিলে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) অবস্থা জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu- Kashmir) মত হবে। আশ্চর্যজনকভাবে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ এবং সাংবাদিকদের উপর উৎপীড়নের মামলায় জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে একই আসনে স্থান পেয়েছে উত্তরপ্রদেশও।

যোগী সরকারের (Yogi Government) পাঁচ বছরের মেয়াদে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ à§­à§« শতাংশ হামলার ঘটনা ঘটেছে করোনা অতিমারির সময়। ১২ জন সাংবাদিক হত্যার পরিসংখ্যানও প্রকাশ পেয়েছে এই সময়ে। সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রকৃতির ভিত্তিতে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে – ‘খুন’, ‘শারীরিক হামলা’, ‘বিচার বা গ্রেফতার’ এবং ‘হেফাজত বা হুমকি বা গুপ্তচরবৃত্তি’।

আরও পড়ুন-আগামিকাল উত্তরপ্রদেশে ৫৫ আসনে ভোট, প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ আখ চাষীদের হাতে

২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার সময় থেকে এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে মোট ১২ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, ৪৮ জনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে এবং ৬৬ জনকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে।

CAAJ-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের যে ক’টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছিল তার বেশিরভাগই ছিল ২০১৯ এর শেষের দিকে। অর্থাৎ যখন থেকে দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়েছিল। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার প্রতিধ্বনি আজমগড় থেকে উত্তরপ্রদেশের আলিগড় পর্যন্ত ছড়িয়েছিল। আর সেই সময়ে, আন্দোলন কভার করা সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের দুর্ব্যবহারের খবরও সামনে এসেছিল। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশেই প্রথম সাংবাদিকদের তাদের ধর্ম ও পরিচয়পত্র দেখিয়ে রেহাই পেতে হয়েছিল বলে রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে, উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেত্রী নিধি যাদব জানান, ” যোগী আদিত্যনাথের শাসনকালে শুধুমাত্র যে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে তাই নয়। মহিলা, দলিত, কৃষক, ছাত্র থেকে যুবসমাজ কেউই মুখ খুলতে পারেন না এখানে। এটাই বিজেপির কালচার।”